চলমান বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছিল। শেষমেষ ভারতের হায়দরাবাদে পা রেখে দারুণ মুগ্ধ হয়েছিলেন বাবর-রিজওয়ানরা। প্রকাশ্যে রিজওয়ান-শাহিন আফ্রিদিরা তাদের আতিথেয়তার প্রশংসাও করেছেন। এরপর হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে পাকিস্তান। গ্যালারি থেকেও ভালো সমর্থন পান বাবর আজমরা। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে আহমেদাবাদে খেলতে নেমেই পাক অধিনায়ক তিক্ত অভিজ্ঞতা পেলেন। তাকে উদ্দেশ্য করে দুয়ো দিয়েছেন ভারতীয় সমর্থকরা।

বিষয়টি একদমই পছন্দ হয়নি সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের। নিজ দেশের জন্য ভক্তদের সমর্থন ও উন্মাদনাকে স্বাভাবিক চোখে দেখলেও প্রতিপক্ষের কাউকে কটাক্ষ করা তার ভালো লাগেনি। পরে ধারাভাষ্যের সময় বিষয়টি জানাতেও ভুললেন না গম্ভীর।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে তুমুল উন্মাদনায় ভাসছে আহমেদাবাদ শহর। যার নিরাপত্তায় ১১ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। মুম্বাই থেকে কেবল এই ম্যাচের জন্য চালু করা হয়েছে দুটি বিশেষ ট্রেন। তবে হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে ক্রিকেটভক্তদের আগ্রহ তৈরি হয় আরও আগে থেকেই। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, ১৫-২০ গুন ভাড়া বাড়লেও ম্যাচের অনেক আগেই শহরটির প্রায় আবাসিক হোটেলের সিট বুকিং হয়ে যায়। এমনকি এক রাতের জন্য অনেকে হাসপাতালের বেডও ভাড়া করেন।

হায়দরাবাদ ছেড়ে আহমেদাবাদের বিমানেও বেশ হাসিখুশি দেখা যায় বাবরদের। সবাই মিলে বিমানে সেবিকাদের এনে দেওয়া কেকও কাটেন। তবে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে নেমেই প্রথমে পুরো গ্যালারিভর্তি ভারতীয় দর্শকের সামনে হয়তো হোঁচট খান বাবর। টস দেওয়ার সময় তাকে উদ্দেশ্য করে গ্যালারি থেকে ব্যঙ্গাত্মক শিষ বাজান অনেকে, বিরূপ মন্তব্যও করেন কেউ কেউ।

যদিও বিষয়টি নিয়ে ওই সময় কিছু বলেননি পাকিস্তান অধিনায়ক। আজকের ম্যাচে দলের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন বাবর, ‘আমরা দুটো ভালো জয় পেয়েছি। দুটো জয়ের ফলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। মোমেন্টামও আমাদের সঙ্গেই আছে। স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ। আমরা উপভোগ করছি। মাঠে ভালো ক্রিকেটটা খেলতে চাই।’

তবে দর্শকদের এমন আচরণ নজর এড়ায়নি ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে থাকা গৌতম গম্ভীরের। তখনই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সাবেক এই ভারতীয় ওপেনার, ‘নিজের দেশকে সমর্থন করতেই পারেন দর্শকরা, তাই বলে প্রতিপক্ষ দলকে কটাক্ষ করা উচিত নয়। এমন আচরণ মেনে নিতে পারলাম না।’

এএইচএস