ম্যাচভেন্যু চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম। অনেক আগে থেকেই স্পিনসহায়ক উইকেট হিসেবে পরিচিত এই মাঠ। এবারের বিশ্বকাপেও এই মাঠে হয়েছে লো-স্কোরিং এক ম্যাচ। ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়েছে ১৯৯ রানে। সেই রান নিতেও ঘাম ঝরাতে হয়েছিল বিরাট কোহলিদের। 

২৪৫ রান করে হতাশ হলেও তাই স্বপ্ন দেখা ছাড়েনি বাংলাদেশ। পরিসংখ্যান বলছে, চেন্নাইয়ের বোলিং পিচে প্রথম ইনিংসে গড় সংগ্রহ মোটে ২২৪। ওভারপ্রতি রান উঠেছে ৫ এর বেশি গড়ে। এমন লো-স্কোরিং ম্যাচে অবশ্য প্রতি সুযোগই কাজে লাগাতে হয়। আর সেই কাজটাই করতে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। 

পুরো ম্যাচে অন্তত গোটা পাঁচেক ক্যাচ ছেড়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। বাউন্ডারি লাইনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং লিটন দাসের ক্যাচ বাদ দিলেও তাসকিন আহমেদের হাত থেকে ফসকেছে দুটি, আর মেহেদি হাসান মিরাজের ক্যাচ নিয়ে আক্ষেপ করতেই পারেন টাইগার ভক্তরা। 

ডেভন কনওয়ের রান তখন চার। এক উইকেট কেবলই নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তখনই মিরাজ ছেড়ে দেন কনওয়ের ক্যাচ। কে জানতো, তখন ক্যাচ নিতে পারলে হয়ত বদলাতে পারতো ম্যাচের গতিপথ। এরপর বাংলাদেশ ছেড়েছে কেইন উইলিয়ামসনের ক্যাচটাও। ২৭ রান করা উইলিয়ামসন জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত করেছেন ৭৮ রান। এছাড়া রানআউটের সুবর্ণ সুযোগও একবার হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। 

লো-স্কোরিং ম্যাচে প্রতিটা সুযোগ মানেই যেখানে বড় কিছু। সেখানে এক ইনিংসেই ৬ বার ব্যর্থতার খাতায় নাম লিখিয়েছে টাইগাররা। যে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে, হয়ত অন্যরকমই হতে পারতো বাংলাদেশের ম্যাচের চিত্র।

বিশ্বকাপে এর আগেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাজে ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামেও সেই একই রকমের জিনিসের পুনরাবৃত্তি দেখতে হলো। বিশ্বকাপের শেষ দিকে এই মিসই হতে পারে বাংলাদেশের আক্ষেপের বড় কারণ।   

জেএ