বছরজুড়ে দারুণ পারফরম্যান্স করছেন শুভমান গিল। কিন্তু বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে তার এমন দুর্দান্ত মনোভাবের সামনে বাধ সাধে ডেঙ্গু। যে কারণে ভারত দুই ম্যাচ খেলে ফেললেও গিলের মাঠে নামা হয়নি। এর ভেতরই আইসিসির মাসসেরার (সেপ্টেম্বর) দৌড়ে মনোনয়ন পান তিনি। ইতোমধ্যে মাঠে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন গিল, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে তাকে অনুশীলনেও দেখা গেছে। তার আগে বড় সুসংবাদ পেয়েছেন, সেপ্টেম্বরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় এই ওপেনার।

আজ (শুক্রবার) ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেটে মাসসেরা খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করে আইসিসি। মেয়েদের ক্রিকেটে মাসসেরা হয়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। শুভমান সেরা হওয়ার দৌড়ে পেছনে ফেলেছেন স্বদেশি পেসার মোহাম্মদ সিরাজ ও ইংল্যান্ড ওপেনার ডেভিড মালানকে। এছাড়া মেয়েদের বিভাগে এ লড়াইয়ে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই তারকা ক্রিকেটার লরা উলভার্ট ও নাদিন ডি'ক্লার্ক।

গত সেপ্টেম্বর মাসে মোট ৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন শুভমান। যেখানে দুটি করে সেঞ্চুরি ও অর্ধশতকে সবমিলিয়ে তিনি ৪৮০ রান সংগ্রহ করেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা সিরাজ গত মাসে ৬টি ওয়ানডেতে ১১টি উইকেট পেয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচও তিনি সেপ্টেম্বরে খেলেছেন, এশিয়া কাপের ফাইনালে ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে একাই বিধ্বস্ত করেন লঙ্কানদের।

অন্যদিকে, ডেভিড মালান সেপ্টেম্বর মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। সেসব ম্যাচের একটিতে সেঞ্চুরি ও দুটি হাফসেঞ্চুরি নিয়ে ৩০৫ রান করেন ইংলিশ ওপেনার। তিনটি ওয়ানডে ম্যাচে মালানের ব্যাটে আসে যথাক্রমে ৫৪, ৯৬ ও ১২৭ রান। তবে শেষমেশ গিলের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স স্বীকৃতি পায়।

তবে এবারই প্রথম আইসিসির ‘প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ’ নির্বাচিত হননি গিল। এর আগে জানুয়ারিতেও তিনি মাসসেরা হয়েছিলেন। ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দু’বার মাসসেরা খেতাব জিতলেন শুভমান।

আগামীকাল (শনিবার) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের মহারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তান। সেই ম্যাচের একাদশে ভারতীয় এই ওপেনারের জায়গা মিলবে কিনা এখনও নিশ্চিত নয়। ফর্মে থাকলেও সুস্থ হওয়ার পরপরই তাকে মাঠে নামানোর বিষয়টি নির্ভর করছে টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর। তার বদলে ওপেনিংয়ে খেলা ইশান কিষাণ প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন ৪৭ রান।

এএইচএস