‘কেউ ওকে ডেকে বলুন যে ম্যাচটি ৫০ ওভারের, টি-টোয়েন্টি নয়!’ ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে এক ক্রিকেট বিশ্লেষক রোহিত শর্মাকে উদ্দেশ্য করে মজার ছলে এই মন্তব্য করেন। আসলেই রোহিতের ব্যাটিং দেখে এমনটাই মনে হচ্ছিল। মাত্র ৩০ বলে ফিফটি হাঁকানোর পর তিনি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৬৩ বলে। এর মাধ্যমে বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন এই ভারতীয় অধিনায়ক।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ ছয় মারার রেকর্ড এখন রোহিত শর্মার। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ওপেনার ক্রিস গেইল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ৫৫৩টি ছক্কা মেরেছিলেন। এদিন তার সেই রেকর্ড ভেঙে দেন রোহিত।

চলমান বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই আইসিসির মেগা আসরটিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল তার। তবে তার সঙ্গে সমান ৬টি সেঞ্চুরি নিয়ে রেকর্ড ভাগাভাগি করছিলেন স্বদেশি কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। বিশ্বকাপে ৪৪ ইনিংসে শচীন শতক হাঁকিয়েছিলেন ৬টি, বিপরীতে ১৯ ইনিংসেই সপ্তম ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন রোহিত। একইসঙ্গে বিশ্বকাপে তার ১০০০ রানও পূর্ণ হয়েছে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নামার আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে রোহিতের রান ছিল ৯৭৮। আফগানদের বিপক্ষে ২২ রান করেই বিশ্বকাপে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম এক হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি। এক হাজার রান করতে রোহিত খেলেছেন ১৯ ইনিংস, সমান ইনিংস খেলেছেন ডেভিড ওয়ার্নারও। এর আগে ২০ ইনিংসে এক হাজার রান করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। 

অন্যপ্রান্তে কিছুটা ভারসাম্য রেখে খেলছেন আরেক ভারতীয় ওপেনার ইশান কিষাণ। ৪২ বলে তিনি করেছেন ৪৪ রান। যার সুবাদে ভারতের সামনের আফগানিস্তানের ২৭৩ রানের সংগ্রহ মামুলী-ই মনে হচ্ছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭.৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ভারতের সংগ্রহ ১৫২ রান। দুই ওপেনারই এখনও অপরাজিত আছেন। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ৩২.২ ওভারে ১২০ রান।

এর আগে ব্যাট করা আফগানরা শুরুতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। পরবর্তীতে তাদের বিপদ থেকে টেনে তুলেছেন হাশমতউল্লাহ শহিদী ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ভারতীয় বোলিংয়ের চিন্তা বাড়িয়ে ১২১ রানের জুটি গড়েন শহিদী-ওমরজাই। সেঞ্চুরির পথে থাকা আফগান অধিনায়ক শহিদী ফিরেছেন ৮০ রানে। ৮৮ বলে তিনি ৮টি চার ও এক ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। এছাড়া ২টি চার ও ৪ ছক্কায় ৬৯ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন ওমরজাই।

এএইচএস