ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে হামলার হুমকি দেওয়ায় গ্রেপ্তার ১
বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বড় এক বিপদের খড়গ চলছে ভারতের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোতে। বিশেষত, বিশ্বের অন্যতম দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে দেশটির সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। আগামী ১৪ অক্টোবর ওই স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে। যার নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হচ্ছে প্রায় ১১ হাজার নিরাপত্তাকর্মী। এরইমধ্যে ই-মেইলে হুমকি বার্তা পাঠানো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম। দ্য হিন্দু বলছে, ই-মেইলে হুমকি দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নামে আগের কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই। গুজরাটের রাজকোট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে খালিস্তানপন্থি নেতা গুরপাওয়ান্ত সিং-এর পক্ষ থেকেও বিশ্বকাপ চলাকালে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে এরইমাঝে মামলা করা হয়েছে। এমনকি এই হুমকির শঙ্কায় বিশ্বকাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে বলে ধারণা অনেকের। এছাড়া দেশটির কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণয়ের নাম করে ই-মেইলে হুমকি বার্তা পাঠানো হয়। ২০১৪ সাল থেকে তিনি কারাগারে বন্দী আছেন। অভিযোগ রয়েছে, কারাগারে থেকেই তিনি নিজের সন্ত্রাসী দল পরিচালনা করেছেন। পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মোসেওয়ালাকে হত্যার অভিযোগও আছে তার ওপর।
হুমকির ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিষয়ে পুলিশ বলছে, ‘ওই ব্যক্তি নিজের মোবাইল থেকে একটি ছোট ই-মেইল পাঠিয়েছিলেন। নিজের নামেই মেইলটি করেছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে এর আগে কোনও অপরাধের তথ্য নেই। তিনি কেন হামলার হুমকি দিয়ে মেইল করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এর আগে মঙ্গলবার ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছিল, বারুদে ঠাসা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সামনে রেখে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে আহমেদাবাদকে। মোতায়েন করা হচ্ছে প্রায় ১১ হাজার নিরাপত্তাকর্মী। বিশ্বকাপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙভি, রাজ্য ডিজিপি বিকাশ সহায়, জিএস মালিক এবং অন্যান্য সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ভারত-পাক হাইটেনশনের ম্যাচ কোনো বিপত্তি ছাড়া উৎরে যাওয়া-ই আসল লক্ষ্য রাজ্য কর্মকর্তাদের।
এএইচএস