ভারতীয় মাস্টার ব্যাটার বিরাট কোহলিকে নিয়ে প্রতিপক্ষ দলগুলোর মাঝে আলাদা পরিকল্পনার কথা কারও অজানা নয়। তবে তাকে-ই যদি নিজ দলে খেলানোর সুযোগ পাওয়া যায়, সেটি হাতছাড়া করার কথা নয় কারোর-ই। যা বিশ্বক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির এক সাক্ষাৎকারেই আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের তারকা ক্রিকেটারদের সামনে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়– ভারতীয় দলের কোন ক্রিকেটারকে চুরি করতে চান? যার জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন কোহলির কথা!

অবশ্য কেবল সাকিবই নন; নিউজিল্যান্ডের ডেভন কনওয়ে, ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক, পাকিস্তানের হাসান আলী ও হারিস রউফ— প্রত্যেকেই সুযোগ পেলে কোহলিকে ভারত থেকে চুরির কথা জানিয়েছেন।

কোহলির ক্রিকেটীয় অবদান সম্পর্কে নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। দীর্ঘ সময় ধরেই তিনি ভারতীয় দলের হয়ে একের পর এক কীর্তি গড়ে যাচ্ছেন। যাকে শচীন টেন্ডুলকারের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২৫ হাজারের বেশি রানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭৭টি সেঞ্চুরি আছে কোহলির। অনেকের ধারণা ছিল সেঞ্চুরি আর রানের হিসেবে শচিন টেন্ডুলকারকে একটা সময় ছাড়িয়ে যাবেন তিনি!

ভারত থেকে কোন ক্রিকেটারকে চুরি করতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে টাইগার অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘আমি বিরাট কোহলিকে চুরি করতে চাইব, কারণ সে প্রতি ম্যাচে রান করে।’

একই প্রশ্ন করা হয়েছিল ডেভন কনওয়ের কাছেও। নিউজিল্যান্ডের এই ওপেনার বলেন, ‘বিরাট কোহলি দারুণ একজন ক্রিকেটার। লম্বা সময় ধরে সে ধারাবাহিকভাবে রান করছে। তার অভিজ্ঞতাও দারুণ। ভারত থেকে চুরি করতে বলা হলে আমি কোহলিকে বেছে নেবো।’

চলমান বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সময়োপযোগী এক ইনিংস খেলেছেন কোহলি। মাত্র ২ রানেই ৩ উইকেট হারানো ভারতকে তিনি লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের মুখে নিয়ে গেছেন। চাপের মুখেও দুজনে মিলে গড়েন ১৬৪ রানের জুটি। কোহলি ৮৫ এবং রাহুল করেন ৯৭ রান। কোহলির জন্য অবশ্য এমন কঠিন ম্যাচও বের করে আনার ঘটনা নতুন নয়। তাই তো তারকা ক্রিকেটাররাও তাকে দলের নিতে চাওয়ার কথা লুকোতে চাইলেন না।

এএইচএস