টানা ৫০ ওভার উইকেটকিপিংয়ের পর বিশ্রামের খুব একটা সুযোগ পাননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৪৫ রান তাড়ায় ৩৭ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। ৩০০ বল উইকেটের পেছনে থাকার পর ইনিংসের অষ্টম ওভারেই ব্যাট হাতে ক্রিজে নেমে যেতে হয় রিজওয়ানকে। এরপরের গল্পটা সবার মোটামুটি জানা। বিশ্বরেকর্ড গড়ে পাকিস্তানকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন রিজওয়ান। 

মাঠে এতটা সময় কাটালে ক্র্যাম্প হওয়া বা পেশিতে টান লাগা অস্বাভাবিক নয়। রিজওয়ানের ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই ঘটে। ফিফটির পরেই হ্যামস্ট্রিংয়ের টান পড়ে রিজওয়ানের। টিভিতে দেখে মনে হচ্ছিল রান-আপে সমস্যা হচ্ছিল তার। একবার তো ছক্কা মেরে ক্র্যাম্পের যন্ত্রণায় তৎক্ষণাৎ মাটিতে পড়ে যান। 

ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তান ইনিংসের ৩৭তম ওভারে। ক্র্যাম্পের কারণে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার আগে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা হাঁকান রিজওয়ান। পরে খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস।

আরেক সেঞ্চুরিয়ান আব্দুল্লাহ শফিকের সঙ্গে তিনি জুটি গড়েছেন ১৭৬ রানের। এরপর সউদ শাকিলের সঙ্গে জুটিতে যোগ করেছেন আরও ৯৫। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন রিজওয়ান। ১২১ বলে ১৩১ রানের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৮টি চার ও তিন ছক্কায়। 

তবে তার পড়ে যাওয়ার দৃশ্যটি কৌতুকপূর্ণ হওয়ায় তুমুল হাসাহাসি করতে থাকেন ধারাভাষ্যকাররা। তাদের মধ্যে ছিলেন সাইমন ডুল। নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই ক্রিকেটার বলে উঠেন, 'দয়া করে কেউ ওকে (রিজওয়ান) চলচ্চিত্রে নিয়ে আসুন।' পরে ম্যাচসেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় রিজওয়ানকে প্রশ্ন করা হয় ক্র্যাম্প নিয়ে। ধারাভাষ্যকারদের মতো তিনিও হাসতে হাসতে মজার ছলে জবাব দেন, 'কখনও কখনও এটা ক্র্যাম্প, কখনও কখনও এটা অভিনয়।'

সামনে বড় পাহাড় ডিঙানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকলেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন রিজওয়ানরা, 'এরকম পারফর্ম করলে আপনি সব সময়ই গর্ববোধ করবেন। এটা কঠিন ছিল এবং যখন আপনি এরকম কোনো লক্ষ্য তাড়া করে ফেলেন, সেটা সব সময়ই বিশেষ কিছু। আমাদের ড্রেসিং রুমে প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই বিশ্বাস ছিল যে আমরা এই রান তাড়া করে জিততে পারব।’

এফআই