পরিসংখ্যানের পাতায় বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড
বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড। একসময় ক্রিকেট মাঠে যা ছিল অসম লড়াই। দিনে দিনে তা হয়ে উঠছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ম্যাচে শুরুর আগেই হেরে যাওয়ার মানসিকতা থেকে আগেই বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। ২০১০ সালে ব্রিস্টলে প্রথম জয়ের পর টানা দুই বিশ্বকাপে ইংলিশদের পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছিল টাইগাররা। এরপর ঘরের মাঠেও আছে জয়ের সুখস্মৃতি।
আজ (মঙ্গলবার) বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সেই ইংলিশদেরই মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে টাইগাররা। ম্যাচভেন্যু ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে ইংলিশরা যখন দুশ্চিন্তায়, তখন বাংলাদেশ আগেই এই মাঠে জয় তুলে নিয়ে মানসিকভাবে এগিয়ে আছে।
বিজ্ঞাপন
যদিও সাম্প্রতিক ফর্ম বাংলাদেশের বিপক্ষে। বাংলাদেশের মাটিতে সর্বশেষ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে তারা। যদিও এরপরেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ইংল্যান্ড।
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ ম্যাচ খেলে ৫টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ১৯টিতে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। টেস্ট খেলুড়ে দেশের হিসেবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টাই সবার শেষে পেয়েছে টাইগাররা। যদিও বিশ্বকাপে দু’দলের জয়-হারের রেকর্ডে অতটা পার্থক্য নেই। ৪ ম্যাচে ফলাফল সমান ২-২।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারাতে ঘাম ঝড়াতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। এরপর ২০১১ এবং ২০১৫ আসরের মোকাবেলায় ইংল্যান্ডকে যথাক্রমে ২ উইকেট এবং ১৫ রানে হারিয়েছিলো টাইগাররা।
২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হওয়ার পর নিজেদের ক্রিকেট কাঠামোতে পরিবর্তন আনে ইংল্যান্ড। এরপর ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আগ্রাসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলার পুরস্কার পেয়েছিলো ইংলিশরা। বিশ্বকাপ জয়ের পথে ২০১৯ সালে ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল দলটি।
দলীয় সর্বোচ্চের হিসেবে বাংলাদেশ থেকে অনেকটাই এগিয়ে ইংল্যান্ড। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৯১ রানের বিশাল ইনিংস দাঁড় করিয়েছিল থ্রি লায়ন্সরা। আর বাংলাদেশ একবারই ৩০০ পার করেছে তাদের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে তামিমের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩০৫ রান জমা করেছিল বাংলাদেশ।
তবে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি রানের হিসেবে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররাই। শীর্ষে আছেন ইংলিশ ব্যাটার অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। তার রান ৬১০। এরপরেই আছেন বাংলাদেশের চার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিকের রান ৫৭৫, তামিম করেছেন ৫৫৭ রান। আর সাকিবের সংগ্রহ ৫৪০।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চেও শীর্ষে স্ট্রাউস। টাইগারদের বিপক্ষে ১৫৪ রানের ইনিংস আছে তার। ইংলিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর তামিমের। ২০১৭ সালে ১২৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
বল হাতে এই দুই দলের লড়াইয়ে সফল স্পিনাররাই। বাংলাদেশে সাকিব ২০ উইকেট নিয়ে আছেন শীর্ষে। ইংল্যান্ডের আদিল রশিদের ঝুলিতে আছে ১৯ উইকেট।
এফআই/জেএ