ইংলিশদের আটকাতে কোন ছকে এগোতে হবে টাইগারদের?
বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ইংলিশরা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অবশ্য হোঁচট খেয়েছে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে আছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই শক্তভাবে ফিরে আসতে মরিয়া জস বাটলাররা। জয়ের পাশাপাশি রানরেটের উন্নতির দিকেও চোখ তাদের।
বিপরীতে কিছুটা ফুরফুরে মেজাজেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেও লড়াই করেছিল টাইগাররা। সেদিনের স্কোয়াডে না থাকা সাকিব আল হাসান খেলবেন এই ম্যাচে। অধিনায়ক সাকিবের উপস্থিতি নিশ্চিতভাবেই বাড়তি প্রেরণা দেবে বাংলাদেশকে। এছাড়া প্রথম ম্যাচেই জয়ের ফলে কিছুটা বাড়তি প্রেরণা পাচ্ছে তারা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
তবে ইংলিশদের বিপক্ষে জিততে হলে বেশকিছু সহজ সমীকরণে চোখ রাখবে বাংলাদেশ। ডেভিড মালান কিংবা জস বাটলারের দিকে থাকবে বাড়তি নজর। চলতি বছর ইংলিশদের হয়ে সবচেয়ে সফল ব্যাটার মালান। এই বছর ছয়টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন মালান, এর মধ্যে চারটিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড।
মার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেও ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন মালান। সেই সিরিজে তৃতীয় ওয়ানডেতে তাকে শুন্য রানে আউট করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। ফলাফলও এসেছিল বাংলাদেশের পক্ষে। একই কথা প্রযোজ্য জস বাটলারের ক্ষেত্রে। ইংলিশদের সাম্প্রতিক সাফল্যে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
নতুন বলে মালানকে থামাতে বাংলাদেশের ভরসা হতে পারেন ডানহাতি দুই পেসার তাসকিন আহমেদ এবং হাসান মাহমুদ। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারে মালান আটবার উইকেট দিয়েছেন ডানহাতি পেসারদের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও আউট হয়েছেন ডান হাতি পেসার ম্যাট হেনরির বলে।
জস বাটলারকে থামানোর কাজটাও হয়ত করতে হবে তাসকিনকেই। ছয়বারের দেখায় তিনবারই বাটলারকে ফিরিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। এর সাথে পুরনো হওয়া বলে সাকিব-মিরাজের স্পিনজুটি হতে পারে বাংলাদেশের ভরসার নাম।
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা তরুণ হ্যারি ব্রুককে নিয়েও পরিকল্পনা দরকার বাংলাদেশের। স্টোকস না থাকায় ব্রুকের উপর থাকবে নজর। তবে স্পিনের বিপক্ষে তার দুর্বলতা বেশ পুরনো। ব্রুক-মঈন আলীদের ফেরাতে সাকিব আর মিরাজই ভরসা।
ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডকে সবশেষ হারানোর ম্যাচে বাংলাদেশের নায়ক ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাকিব আল হাসান। দুজনেই খেলেছিলেন পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস। মঙ্গলবারের ম্যাচেও এই দুজনের উপর থাকবে আলাদা নজর। সেইসঙ্গে ফর্মে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজের দিকেও ভরসা করতে হবে বাংলাদেশকে।
এখন পর্যন্ত দুই দলের ২৪ বারের দেখায় বাংলাদেশ জিতেছে ৫ ম্যাচে। বাকি ১৯ ম্যাচের জয়ী দল ইংল্যান্ড। আর বিশ্বকাপে দুই দলের দেখা হয়েছে ৪ বার। যার মধ্যে দুইবার করে ম্যাচ জিতেছে দুই দল।
জেএ