দর্শকখরা নিয়ে ভারতের মাটিতে ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিনামূল্যে টিকিট দিয়েও গ্যালারিতে দর্শক টানতে পারছে না আয়োজক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তাই টিকিট বিক্রি নিয়ে অস্বচ্ছতা ও কালোবাজারির অভিযোগ তুলছেন অনেকেই। বিষয়টি আর ক্রিকেটাঙ্গনে সীমিত নয়, আলোচনা চলছে দেশটির রাজনৈতিক মহলেও। এরই মাঝে বিসিসিআই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য আরও ১৪ হাজার টিকিট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।

আগামী ১৪ অক্টোবর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পাক-ভারত মহারণ অনুষ্ঠিত হবে। অথচ এখনও ভারতে পৌঁছাতে পারেননি পাকিস্তানের সংবাদকর্মী ও সমর্থকরা। তারা ভারতের ভিসা নিয়ে জটিলতা পড়েছেন। এ নিয়ে আইসিসির কাছে হতাশা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। জবাবে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।

এদিকে, শনিবার (৭ অক্টোবর) রাতে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ভারত-পাক ম্যাচের আরও ১৪ হাজার টিকিট ছাড়া হবে। রোববার (আজ) দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে সেই টিকিট কেনা যাবে। আগের নিয়মেই অনলাইনে সেই টিকিট কাটতে হবে।’ বোর্ডের এই ঘোষণা টিকিট প্রত্যাশী ক্রিকেট ভক্তদের মুখে নিঃসন্দেহে হাসি ফোটাবে। কিন্তু তাতেও বিতর্ক কমছে না।

বিশ্বকাপের অনেক আগে থেকেই ভারতের ম্যাচের টিকিটের চাহিদা শুরু থেকেই তুঙ্গে। বিশেষ করে ১৪ অক্টোবর আহমেদাবাদে যে ভারত-পাক মহারণ হওয়ার কথা, সেই ম্যাচের টিকিটের জন্য রীতিমতো হাহাকার চলছে। প্রথম পর্যায়ে দু’দফায় বিসিসিআই ওই ম্যাচের টিকিট বিক্রি করেছিল। কিন্তু সে সময়ও ওই টিকিট নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়। অনেকেই সময়মতো চেষ্টা করেও টিকিট পাননি। এমনকি টিকিট নিয়ে বিসিসিআই দুর্নীতি করছে বলেও তোপ দেগেছেন ক্রিকেট সমর্থকরা।

এবার প্রশ্ন উঠেছে—- এতদিন টিকিটের জন্য এত হাহাকার ছিল, তাহলে এখন ভারত-পাক ম্যাচের ১৪ হাজার টিকিট এলো কিভাবে? কেউ কেউ বলছেন, বিতর্ক ধামাচাপা দিতে স্পন্সরদের জন্য যে টিকিট রাখা হয়েছিল, সেগুলোই এখন সমর্থকদের দেওয়া হচ্ছে কিনা!

ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের মিশন শুরু হচ্ছে আজ থেকে। ঘণ্টা খানেক পরই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারা প্রথম ম্যাচে নামবে। চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।

এএইচএস