ভারতের মাটিতে চলমান বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বড় আলোচনার বিষয় ছিল ভিসা পেতে বিলম্ব হওয়া। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নির্ধারিত ভ্রমণসূচি শুরুর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে ভিসা পেয়েছিলেন। তবে তারা ইতোমধ্যে দুটি ম্যাচ খেলে ফেললেও সংবাদকর্মী ও সমর্থকদের বড় একটা অংশ আটকে আছেন ভিসা জটিলতায়। এ নিয়ে আইসিসির কাছে হতাশা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। 

পিসিবির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘তিন বছর ধরেই আমরা আইসিসিকে সমর্থক ও সাংবাদিকদের ভিসার ব্যাপারে তাদের দায়বদ্ধতা ও সদস্যদেশগুলোর মধ্যে হওয়া সমঝোতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি। এ নিয়ে নিজেদের ভাবনার কথাও জানিয়ে যাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ কাভার করতে পাকিস্তানের সংবাদকর্মী ও সমর্থকদের ভিসা পাওয়ার অনিশ্চয়তা দেখে পিসিবি হতাশ। খেলাধুলার ইভেন্টকে আরও জমজমাট করতে সমর্থক ও সংবাদকর্মীদের ভূমিকা এবং গুরুত্বটা আমরা বুঝি।’

এদিকে, ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, ভারতের পিআরসি (প্রায়র রেফারেন্স ক্যাটাগরি) তালিকায় আছে পাকিস্তান। যে কারণে একজন পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী নাগরিককের ভিসা আবেদন ভারতের স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যাচাই করা হয়।

পিটিআইয়ের সূত্রে ক্রিকইনফো জানিয়েছে, হায়দরাবাদে পাকিস্তান–নেদারল্যান্ডস ম্যাচে স্থানীয় অনেকেই বাবরদের সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু গ্যালারিতে পাকিস্তানি সমর্থকদের দেখা যায়নি। পাকিস্তানের সংবাদকর্মীরাও অনুপস্থিত ছিলেন। বিশ্বকাপ কাভার করতে আনুমানিক ৬০ জন পাকিস্তানি সংবাদকর্মী ভারতের ভিসা আবেদন করেছেন।

আইসিসির এক মুখপাত্র পিটিআইকে বলেছেন, ‘আমাদের আয়োজকের (ভারত) ভিসা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমাদের সব রকম সমর্থন নিয়ে তারা (বিসিসিআই) এজন্য জোর চেষ্টাও করছে। সব রকম চেষ্টাই করা হচ্ছে এটার সমাধানে।’

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরও দুটি ম্যাচ রয়েছে পাকিস্তানের। অথচ এখনও ভারতে যাওয়ার ভিসা পাননি পাকিস্তানের সংবাদকর্মী ও সমর্থকরা। হায়দরাবাদে ১০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং ১৪ অক্টোবর আহমেদাবাদে চিরপ্রতিপক্ষ ভারতের সঙ্গে হাইভোল্টেজ ম্যাচে বাবর আজমের দল মুখোমুখি হবে।

এএইচএস