ওয়ানডে ফরম্যাটের পরিসংখ্যান বলছে, আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ফর্ম যত ভালো-ই থাকুক আগে থেকেই এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে তাদের বিপক্ষে এমন দাপুটে বোলিংয়ের দেখা মিলবে সেটা হয়তো কেউ আশা করেনি। যেখানে ইনিংসের শুরু থেকে টাইগার পেসাররা তেমন সুইং কিংবা লাইন-লেংথ ঠিক রাখতে পারছিলেন না। এরপর আক্রমণে সাকিব-মিরাজরা আসতেই দৃশ্যপট বদলে গেল। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপে একটি লজ্জার নজির গড়েছে আফগানরা।

১৫৬ রানেই গুটিয়ে যাওয়ার ম্যাচে হাশমতউল্লাহ শহিদীর দলের পাঁচ ব্যাটারই আজ বোল্ড আউট হয়েছেন। যাদের প্রত্যেকেরই ব্যাটিং অর্ডার ছিল লাগাতার। নাজিবুল্লাহ জাদরানকে দিয়ে ‘স্টাম্প ভাঙার’ শুরুটা করেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আফগান এই ব্যাটার সাম্প্রতিক সময়ে রানখরায় ভুগছেন। বাঁ-হাতি স্পিনারের সোজা বলে লাইন মিস করে যান নাজিবুল্লাহ। খানিকটা নিচু হওয়া বলে টার্নের আশায় ব্যাট চালিয়ে ছিলেন এই ব্যাটার, আউটসাইড এডজে বল স্টাম্পে আঘাত হানে।

এরপর তাসকিন আহমেদের লেংথ বলে ইনসাইড এডজ লেগ-স্টাম্প উপড়ে যায় মোহাম্মদ নবির। মাত্র ৬ রানেই অভিজ্ঞ এই ব্যাটার সাজঘরে ফিরেন। তারপর মিরাজের নিচু হওয়া বল স্টাম্পে ডেকে এনে বোল্ড হয়েছেন রশিদ খানও। ধর্মশালায় যখন তার দল ধুঁকছে, তখন ৯ রানে ফিরে তিনি বিপদ আরও বাড়িয়ে ফিরলেন।

এদিন প্রথম স্পেলে সুবিধা করতে পারেননি শরীফুল ইসলাম। মাঝে স্পিনাররা ভালো করায় শরিফুলের শরণাপন্ন হননি সাকিব। তবে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে উইকেটের দেখা পেলেন এই বাঁ-হাতি পেসার। ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে তিনি বোল্ড করেছেন। গলার ‘কাঁটা’ হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া এই ব্যাটার ফেরেন ২২ রানে। এরপর মিরাজের স্ট্রেইট ডেলিভারিতেই বোকা বনে গেছেন মুজিব-উর-রহমান (১ রান)। কোনো ইনসাইড এজ-ও হয়নি, বড় শট খেলতে গিয়ে আফগান স্পিন অলরাউন্ডার তার স্টাম্প হারালেন।

ওয়ানডেতে সব মিলিয়ে এ নিয়ে নয়বার প্রতিপক্ষের অন্তত ৫ জন ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করার ঘটনা রয়েছে বাংলাদেশের। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬ জন বোল্ড হয়েছিলেন, যেটি এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ।

এএইচএস