সর্বশেষ এশিয়া কাপেও দলে নিজের প্রয়োজনীয়তা কেমন— সেটি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মহেশ থিকশানা। কিন্তু চোটের কারণে পুরো ফাইনাল ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি। এরপর ব্যাটিং ব্যর্থতায় লঙ্কানদের এশিয়া কাপ স্বপ্ন কিভাবে ধূলিস্যাৎ হয়েছে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। তবে চোট তো আর পিছু ছাড়েনি দাসুন শানাকার দলের। উল্টো শানাকা ও ‍কুশল পেরেরা চোটে পড়েছেন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সময়ে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তাদের পাওয়া নিয়ে শঙ্কার মাঝেই নতুন দুঃসংবাদ পেয়েছে লঙ্কা-শিবির।

আজ (শনিবার) দুপুরে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে লঙ্কানরা স্পিনার থিকশানাকে পাচ্ছে না। গতকালই এই তথ্য জানিয়েছেন দলটির কোচ ক্রিস সিলভারউড।

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে প্রথম হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান থিকশানা। ফলে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ১০ উইকেটে পরাজয়ের ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। তার চোট নিয়ে কোচ সিলভারউড বলেছেন, ‘থিকশানা হ্যামস্ট্রিং চোট থেকে সেরে ওঠার পথে আছে, তাই এই ম্যাচের জন্য তাকে পাওয়া যাবে না। তবে আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই তাকে পাওয়া যাবে। বাকিরা সুস্থ আছে।’

বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে লঙ্কানরা তারকা অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকেও হারায়। যা তাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। এর আগে খেলা ম্যাচগুলোতে তিনি ফর্মের তুঙ্গে ছিলেন। এখন থিকশানাও না থাকায় আগামীকাল স্পিন ডিপার্টমেন্টের গুরুদায়িত্ব থাকবে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও দুনিথ ভেল্লালাগের ওপর। একইসঙ্গে একাদশে দেখা যেতে পারে দুশান হেমান্থকেও। 

তাদের মধ্যে সবচেয়ে তরুণ ২০ বছর বয়সী ভেল্লালাগে। তার ওপরও নজর থাকতে পারে অনেকের। কোচ সিলভারউডও এই স্পিনারের ওপর বেশ প্রত্যাশা দেখিয়েছেন, ‘সে (ভেল্লালাগে) দেখিয়েছে কতটা ভালো প্রভাব তার। তরুণ হলেও তার মাথা একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের মতো। আমি মনে করি তার ক্রিকেট ম্যাচুরিটি অনেক বেশি। সে ব্যাট-বলে সমান পারদর্শী এবং ফিল্ডিংয়েও দারুণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।’

এএইচএস