নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বড় এক জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে বাবর আজমের দল ২৮৬ রানেই অলআউট হয়ে যায়। এরপর হারিস রউফ ও হাসান আলীদের নৈপুণ্যে ২০৫ রানেই ইনিংস থামে নেদারল্যান্ডসের। ম্যাচসেরা হয়েছেন পাকিস্তানের তরুণ ব্যাটার সৌদ শাকিল। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে তিনি ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দলের হাল ধরেছিলেন। আক্রমণাত্মক মেজাজে ডাচ বোলারদের দাপটও কমিয়েছেন শাকিল, যার পুরস্কারই পেয়েছেন ম্যাচ শেষে। অথচ কয়েক মাস আগেও তিনি বিশ্বকাপের পরিকল্পনাতেও ছিলেন না!

২৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার যখন ক্রিজে আসেন, তখন পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৩ ‍উইকেটে মাত্র ৩৮ রান। এরপর রানের চাকা সচল করতে হাত খুলে খেলেছেন শাকিল। মাত্র ৩২ বলেই তিনি দেখা পান হাফসেঞ্চুরির। রিজওয়ানের সঙ্গে তার ১২০ রানের জুটিই পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়। ১২০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন শাকিল, ৯টি চারের বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় তিনি করেন ৬৮ রান।

ম্যাচসেরা হয়ে বেশ আপ্লুত বিশ্বকাপে আজ অভিষেক হওয়া শাকিল, ‘খুবই আনন্দিত। নিজের খেলার স্বাভাবিক ধরন ঠিক রেখে দলীয় সংগ্রহ বাড়াতে সব সময় ইতিবাচক ছিলাম। দ্রুত তিন উইকেট হারানোয় বেশ চাপে ছিল দল। তবে আমি সৌভাগ্যবান যে দ্রুত কিছু বাউন্ডারি পেয়েছি।’

পাকিস্তানের নির্বাচক প্যানেল থেকে কিছুদিন আগে পদত্যাগ করা মোহাম্মদ হাফিজ তরুণ ব্যাটারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘সৌদ শাকিল আমাদের ইনিংস মেরামতের কারিগর। পাকিস্তান যখন পুরোই বিপদের মুখে সে সঠিক কৌশলে খেলেছে এবং দারুণ এক ইনিংসও সাজিয়েছে পরে। সে যেভাবে চাপ সামলেছে, তার জন্য অনেক প্রশংসা-ই প্রাপ্য।’

অথচ শাকিল টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনায়ও ছিলেন না বলে জানান সাবেক এই পাক ক্রিকেটার, ‘দুই মাস আগে তাকে ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনায় রাখেনি। তাকে ড্রেসিংরুমে কাছ থেকে দেখেছি এবং আমি তার প্যাশন সম্পর্কে জানি। আজ সে অন্যদের ভুল প্রমাণিত করেছে।’

এএইচএস