বিশ্বকাপের মত মেগা আসর। যার একটি ম্যাচ দেখার জন্য টিকিটের আশায় থাকেন সকলেই। বিরাট কোহলি বা আনুশকা শর্মাকে তো বন্ধুরা টিকিট চেয়ে নাজেহাল করেছেন। বাধ্য হয়ে এই দম্পতি তাদের বন্ধুদের অনুরোধ করেছেন বাসায় বসে খেলা দেখতে। সেই বিশ্বকাপের ম্যাচেই কিনা দর্শক নেই। তাও আবার আগের আসরের দুই ফাইনালিস্টের মধ্যকার ম্যাচে। 

অবিশ্বাস্য হলেও এবারের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে দৃশ্যটা এমনই। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে নাকি ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের সব টিকিট বিক্রি হয়নি। আর তাইতো দর্শক ভর্তি করতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার নারী দর্শককে হাজির করছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। এই কাজে তাদের সাহায্য করছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এর স্থানীয় নেতারা। 

ওয়ার্ড পর্যায়ের এসব নেতারা আগেই নিজ নিজ এলাকার নারীদের তালিকা করে রেখেছেন। উদ্বোধনী ম্যাচে এসব নারীদের দেখা যাবে দর্শক গ্যালারিতে। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর, বিজেপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা নারীদের একত্র করে তাদের হাতে ফ্রি টিকিট তুলে দেওয়ার পাশাপাশি চা ও লাঞ্চের কুপনও দিয়েছেন। তবে অন্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সব টিকিট বিক্রি না হওয়ায় গ্যালারি ভরতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

তবে এতে দোষের কিছু দেখছে না স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক সিনিয়র সদস্য গণমাধ্যমে জানান, ‘অন্যরা খেলা দেখানোর জন্য স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে আসে। তাতে গ্যালারি ভরার পাশাপাশি একটা উৎসবের আমেজ থাকে। পার্থক্য একটাই, আমরা নারী দর্শকদের নিয়ে আসব।’

আহমেদাবাদের বোদাকদেভ অঞ্চলে বিজেপির সহসভাপতি ললিত ভাধাওয়ান জানিয়েছেন, গত মাসে পার্লামেন্টে নারীদের রিজার্ভেশন বিল পাস হয়। এটাকে প্রেরণা হিসেবে ধরেই নারী ক্রিকেটপ্রেমীদের গ্যালারিতে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ 

তিনি এও জানান, ‘আহমেদাবাদের ৩০ থেকে ৪০ হাজার নারী স্টেডিয়ামে খেলা দেখবেন। আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দল নাম সংগ্রহ করে টিকিট তাদের দিয়ে এসেছে। যেহেতু মেয়েদের ৩৩ শতাংশ রিজার্ভেশন বিল পাস হয়েছে, আর টিকিটও এসেছে ওপরমহল থেকে। নারীরা নিজেদের উদ্যোগেই স্টেডিয়ামে যাবেন এবং তাদের চা ও খাবারের কুপন দেওয়া হবে।’

জেএ