শুরু হচ্ছে বিশ্বক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট আইসিসি মেন’স ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ভারতের মাটিতে বসবে এবারের আয়োজন। একদিনের ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টের জন্য প্রস্তুত ভারত। প্রস্তুত ১০ ভেন্যু, প্রস্তুত অংশগ্রহণকারী ১০ দেশের ১৫০ ক্রিকেটার এবং শতাধিক কোচিং-স্টাফরা। একইসঙ্গে আছে সাংবাদিকদের ব্যস্ততা, আছে নিরাপত্তা আর আয়োজনের নানাদিক। 

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩ ঘিরে ঢাকাপোস্টের বিশেষ আয়োজন ‘বিশ্বকাপের মাঠ’। যেখানে থাকবে সব ভেন্যুর খুঁটিনাটি। ৪র্থ পর্বে থাকছে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। রাজধানী শহরের এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ খেলবে গ্রুপপর্বের এক ম্যাচ। যেখানে তাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে এশিয়ান দেশ শ্রীলঙ্কা। 

অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম

দর্শক ধারণক্ষমতা- ৫৫ হাজার

অরুণ জেটলি বলার চেয়ে ফিরোজ শাহ কোটলা নামটাই হয়ত এই স্টেডিয়ামকে আরও বেশি পরিচিত করবে আপনার কাছে। বয়সের বিচারে কলকাতার ইডেন গার্ডেনের সমান বয়স এটির। ১৮৮৩ সালে স্থাপিত এই স্টেডিয়াম ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন স্টেডিয়ামের মাঝে অন্যতম। দর্শক ধারণক্ষমতা ৫৫ হাজার। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ১৯৮৭, ১৯৯৬ এবং ২০১১ বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মৃত্যুর পর তার সম্মানে এই স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হয়।   

কতটি ম্যাচ হবে?

এবারের বিশ্বকাপে এই মাঠে ৫টি ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে। যার মধ্যে সবার শেষে থাকবে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি। নভেম্বরের ৬ তারিখ হবে সেই ম্যাচ। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম শ্রীলঙ্কা (৭ অক্টোবর), ভারত বনাম আফগানিস্তান (১১ অক্টোবর), ইংল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান (১৫ অক্টোবর) এবং অস্ট্রেলিয়া বনাম নেদারল্যান্ডস (২৫ অক্টোবর) ম্যাচ হবে এখানে।  

পিচের আচরণ

সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হিসেবেই দেখা হয় দিল্লির এই স্টেডিয়ামকে। তবে ঐতিহাসিকভাবে এটি বোলারদের জন্য অনুকূলে থাকা পিচ। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে এই পিচের ওপর বেশ বড় রকমের অভিযোগ আসে। আইসিসি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেড় থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার মুখে ছিল এই স্টেডিয়াম। যদিও শেষ পর্যন্ত অতো লম্বা সময়ের জন্য নিষিদ্ধ থাকেনি তা। 
এ মাঠে ২৮টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে ব্যাটিং করা দল ১৩ টি এবং পরে ব্যাটিং করা দল ১৪টি ম্যাচ জয় পেয়েছে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।

স্কোরিং প্যাটার্ন 

দিল্লির এই মাঠে ৩০০ এর উপর রান হয়েছে এখন পর্যন্ত দুইবার। ২৪৯ থেকে ৩০০ এর মাঝে রান এসেছে ১১ বার। ২০০ থেকে ২৫০ এর মাঝে রান হয়েছে ১৭ বার। প্রথম ইনিংসে এই মাঠের গড় স্কোর ২২৩। আর দ্বিতীয় ইনিংসে তা নেমে এসেছে ২০৩ এ। ধারণা করা হয়, ২৬৫ বা তার উপরে থাকা স্কোর এই মাঠে বেশ নিরাপদ। ওভারপ্রতি ৫ এর নিচে রান এসেছে এই পিচে। দিল্লির মাঠে তাই আরও একবার হয়ত লো-স্কোরিং ম্যাচই দেখতে হবে। 

বাংলাদেশের অতীত

এই মাঠে এর আগে ওয়ানডে না খেললেও একবার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

জেএ/এফআই