শুরু হচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট আইসিসি মেন’স ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ভারতের মাটিতে বসবে এবারের আয়োজন। একদিনের ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টের জন্য প্রস্তুত ভারত। প্রস্তুত ১০ ভেন্যু, প্রস্তুত অংশগ্রহণকারী ১০ দেশের ১৫০ ক্রিকেটার এবং শতাধিক কোচিং-স্টাফরা। একইসঙ্গে আছে সাংবাদিকদের ব্যস্ততা, আছে নিরাপত্তা আর আয়োজনের নানাদিক। 

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩ ঘিরে ঢাকাপোস্টের বিশেষ আয়োজন ‘বিশ্বকাপের মাঠ’। যেখানে থাকবে সব ভেন্যুর খুঁটিনাটি। ১ম পর্বে থাকছে ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। যে মাঠে বাংলাদেশ খেলবে বিশ্বকাপ মিশনের গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচ। 

হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম

পাহাড়ের কোলঘেঁষে নয়নাভিরাম দৃশ্যের মাঝে একটা স্টেডিয়াম। দর্শক ধারণক্ষমতা মোটে ২৩ হাজার। চারপাশের অভূতপূর্ব দৃশ্যের সঙ্গে ক্রিকেটের রসায়নটা এখানে বেশ জমজমাট। আর খেলা যদি হয় শীতের সময়ে তবে তা আরও বেশি উপভোগ্য। অক্টোবরের ৭ তারিখ এখানেই নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। 

বিশাল বড় অফিসিয়াল নামের তুলনায় ‘ধর্মশালা স্টেডিয়াম’ নামেই বেশি পরিচিত এটি। বিশ্বকাপে মোট ৫ ম্যাচ আয়োজন করা হবে এই মাঠে। এর আগে এখানে হয়েছে কেবল ৪টি ম্যাচ। যেখানে আগে ব্যাট করে জয় এসেছে কেবল এক ম্যাচে। আর পরে ব্যাট করে জয়ের সংখ্যা ৩ ম্যাচে। ম্যাচ বাই ম্যাচ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ধর্মশালার এই পিচে রান তোলা বেশ কষ্টের। 

এখন পর্যন্ত ২০০ এর নিচে অলআউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৪ বার। ২০০ থেকে ২৫০ এর মাঝে রান এসেছে ২ বার। একবারই কেবল ৩০০ এর বেশি রান দেখেছে এই মাঠ। সবমিলিয়ে ধর্মশালার এই স্টেডিয়ামে ১ম ইনিংসে গড় স্কোর ২১৪ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে গড় স্কোর ২০১। 

উচ্চতার কারণে এখানে বলের গতিতে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন বোলাররা। সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাসে শিশিরের প্রভাব চোখে আসে। যে কারণে এই মাঠে টস জিতে পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্তই গ্রহণ করেন বেশিরভাগ অধিনায়ক। 

বাংলাদেশের রেকর্ড কেমন?

এই মাঠে বাংলাদেশ এর আগে ওয়ানডে না খেললেও খেলেছে টি-টোয়েন্টি। আর সেখানে আছে মনে রাখার মত দারুণ এক স্মৃতি। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই মাঠেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিই আসে। ওমানের বিপক্ষে সেদিন শতক হাঁকিয়েছিলেন তামিম ইকবাল।

জেএ/এফআই