কি দারুণ ছন্দেই না ছিলেন নাসিম শাহ। দারুণ গতির সঙ্গে নিখুঁত লাইনে টানা বল করে যাওয়ার দক্ষতা তাকে করেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। এগারো নাম্বারে নেমে চার-ছয় দিয়ে দলের রানের চাকাও ঘোরাতে সক্ষম ছিলেন নাসিম। অথচ, কাঁধের ইনজুরিতে শেষ পর্যন্ত আর বিশ্বকাপটাই খেলা হচ্ছেনা তার। ইনজুরির পর করা স্ক্যান রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, অন্তত ৬ মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে নাসিমকে। 

২০ বছর বয়েসী নাসিমকে দলে পেতে মরিয়া ছিল পাকিস্তান। এই কারণে দুবার স্ক্যান রিপোর্ট করা হয়েছিল তার। তাতে করেও ফল বদলায়নি। বিশ্বকাপ থেকে বাদই পড়ে গেলেন ছন্দে থাকা এই পেসার। তবে নাসিমের ইনজুরিকে এমন সহজ পরিস্থিতিতে ফেলতে নারাজ পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী উইকেটরক্ষক মঈন খান। তার মতে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিসিবির অবহেলার ফল নাসিমের এমন ইনজুরি। 

মঈন খানের মতে, পিসিবির ফিজিও এবং মেডিকেল টিমের গাফিলতির কারণেই প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না ২০ বছর বয়সী পেসারের। নাসিমকে কোন প্রকার বিশ্রাম না দিয়ে টানা খেলানোর ফল এটি। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি নিয়ে হাজির হয়েছেন মঈন, ‘নাসিমের চোট পাকিস্তান দলের মেডিকেল প্যানেল ও ফিজিওদের জন্য একটি বিপর্যয়। কারণ, সে (নাসিম) তার সমস্যা নিয়ে তিন–চার মাস ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। এরপরেও তারা ওকে টানা খেলিয়েছে।’ 

পাকিস্তানের মেডিকেল দলকে জবাবদিহিতায় আনার দাবিও করেছেন মঈন ‘দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেডিকেল প্যানেলের মতামত জানা আবশ্যক। বিশেষ করে অধিনায়কের জন্য এটা জানা আরও জরুরি। অধিনায়ক সেই অনুযায়ী একজন খেলোয়াড়ের “ওয়ার্ক লোড” নিয়ন্ত্রণ করে। দলের সব খেলোয়াড় প্রতিভাবান। তাই একই কম্বিনেশন খেলিয়ে পুরো বছর কাটিয়ে দেওয়ার পন্থা অবলম্বন করা ঠিক নয়।’

নাসিম শাহর পরিবর্তে কপাল খুলেছে আরেক পেসার হাসান আলী। এই ডাকে অবশ্য ইতিবাচক মন্তব্যই করেছেন বিশ্বকাপজয়ী মঈন, ‘হাসান আলী একজন অভিজ্ঞ বোলার। ওকেও এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে হাসানকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক।’

জেএ