এমন পরিস্থিতি আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশের ক্রিকেট। দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। নিজের ফেসবুকে কিংবা টিভি চ্যানেলের সামনে দলের বিভেদ নিয়ে কথা বলেছেন দুজনেই। তামিম কথা বলেছেন নিজের বাদ পড়ার প্রক্রিয়া নিয়ে। ওপেনিং পজিশন ছেড়ে নিচে নেমে খেলার প্রস্তাবনা আসায় সরে গিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়ায় দেশের এক টিভি চ্যানেলে সাকিব আল হাসান সরাসরিই বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না এমন খেলোয়াড় দলে প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না তিনি। এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিমের বিশ্বকাপ দলে না থাকা প্রসঙ্গে তার নিজের ভূমিকা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘এই বিষয়ে কারও সঙ্গে কোনো আলোচনাই হয় নাই।’  

সাকিব আল হাসান স্পষ্ট করে জানান, ‘এই বিষয়ে কারও সঙ্গে কোনো আলোচনাই হয় নাই। না বিশেষ কোনো খেলোয়াড়, না মেডিকেল টিম, না নির্বাচক। অবশ্যই (সিদ্ধান্ত) বোর্ডের। সবার মত থাকে (অনেক ব্যাপারেই), তবে এ নিয়ে আমার সঙ্গে কথা হয়নি।’

কথার এক পর্যায়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির ২০০৮ সালের আগে বলা এক কথার প্রসঙ্গ টেনে সাকিব বলেন, ‘আমার কথা গুরুত্বপূর্ণ না, আমার সামর্থ্য, এখতিয়ার—এসব নিয়ে অনেকের সংশয় থাকতে পারে। তবে এম এস ধোনি যেহেতু সব জিতছে, তার ওই নলেজ, সেন্স আছে। তার চেয়ে বেশি বাংলাদেশের কারও নেই। ধোনি যদি বলে থাকে, ফিট না হলে খেলাটা চিট করে (প্রতারণা) তার টিমের প্রতি, দেশের প্রতি—আমার মনে হয় মেনে নেওয়া উচিত।’

তামিমের প্রসঙ্গে এসেছিল নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের কথাও, ‘শুধু তামিম না, অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে হলেও একই বলতাম। যদি নিশ্চিত না থাকি কে কোনটা খেলবে...উইলিয়ামসনের উদাহরণ দিই, সে দুই ম্যাচ খেলবে না, কিন্তু এর পর থেকে খেলবে। তাহলে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু যদি এমন হয়, সপ্তম ম্যাচে খেলবে কি না, তিন নম্বর ম্যাচে খেলবে কি না (কেউ)...এবং (সেটা আমি) জানি ম্যাচের দিন সকালে। মনে করি না এমন খেলোয়াড় আমার দরকার আছে। তবে এ বিষয়ে আমার কোনো আলাপ হয়নি। একটা জিনিস আমি অবশ্যই শুনেছি, সে বেছে বেছে খেলবে।’

এসএইচ/জেএ