২০০ রান করতে এত কষ্ট!
আধুনিক ক্রিকেটে ঠিক কতরানকে নিরাপদ ধরা যায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে সচেতন ভক্তরা উত্তর দিতে পারেন, ওয়ানডেতে যেকোন রানই চেজ করা সম্ভব। তবে ৩০০ কিংবা ৩২০ এর বেশি রানকে নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। বর্তমানে ৩০০ এর বেশি রানই ক্রিকেট দুনিয়ার জন্য নিয়মিত দৃশ্য। অথচ, বাংলাদেশ দলের জন্য ৩০০ রান তো দূরে থাক, দুইশ করতেই যেন দম ফুরানোর দশা।
পরিসংখ্যানের পাতায় চোখ রাখলেই এমন কিছু স্পষ্ট হয়ে ধরা দিবে। চলতি বছর এশিয়া কাপ, ঘরের মাঠে সিরিজ, ঘরের বাইরের সিরিজ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। এরমাঝে বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ব্যাট করতে পারেনি বা ২০০ এর নিচের টার্গেটে ব্যাট করেছে এমন ম্যাচ আছে ৩টি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন>> উইলিয়ামসন-আর্চার আছেন, তামিম কেন নয়?
বাকি ১৭ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ ২০০ এর নিচে স্কোর করেছে ৭ ম্যাচে। এর মধ্যে শেষ দশ ম্যাচেই ২০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে ৬ বার। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি যে অত্যন্ত নাজুক, যা দিবালোকের মতোই প্রকাশ্য। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের আগে নিজেদের সবশেষ সিরিজেও দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের এমন দুরাবস্থা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে দুর্দশার শুরু। তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৪৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৯ উইকেটে ১৬৯ রান। ম্যাচ পুরো হলে বাংলাদেশ ২০০ পার করতে পারতো কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সিরিজের পরের ম্যাচই যার প্রমাণ। ২য় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ১৮৯ রানে।
এরপরের মিশন এশিয়া কাপ। যেখানে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৬৮ রানে। এরপর সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়েছিল ১৯৩ রানে। ভারতের বিপক্ষে ২৫৯ রান এই টুর্নামেন্টে টাইগারদের সর্বোচ্চ স্কোর।
সবশেষ ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার চিত্রটাই ফুটে উঠলো আবারও। সিরিজের ২য় এবং ৩য় ওয়ানডেতে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের স্কোর যথাক্রমে ১৬৮ এবং ১৭১। বিশ্বকাপের আগে দলের এমন ফর্ম নিয়ে নিশ্চয়ই ভাবতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট। মূল বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে টিম টাইগাররা। সেই দুই ম্যাচই ক্রিকেটারদের রানে ফেরার শেষ সুযোগ।
জেএ