বোলার বল ছাড়ার আগে নন-স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে তাকে রান-আউট করার নিয়মকে বলা হয় ‘মানকাডিং’। এমনি এক মানকাডিং ঘটনা ঘটে শনিবার বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও। তবে সেই আউটের সুযোগ পেয়েও কিউই ব্যাটার ইশ সোধিকে আবার ফিরিয়ে এনে অনন্য নজির স্থাপন করেছিলেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস।

নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৪৬তম ওভারের খেলা চলছিল তখন। বোলিং আক্রমণে থাকা হাসান মাহমুদের চতুর্থ ডেলিভারি মোকাবেলার জন্য ব্যাটিং স্ট্রাইকে প্রস্তুত ছিলেন কিউই অধিনায়ক লকি ফার্গুসন। হাসান বল ছাড়ার আগেই নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে বেরিয়ে যান সোধি। সুযোগ পেয়েই টাইগার পেসার তাকে মানকাড আউট করে দেন। রিভিউতে আম্পায়ার, জায়ান্ট স্ক্রিনে আউট দেখান তবে লিটনের উদারতায় আবারো ব্যাট করার সুযোগ পান সোধি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের এমন ভদ্রতায় মুগ্ধ হয়ে সোধি বলেন, ‘আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো মানুষ। আপনি দেশকে জেতানোর জন্য লড়ছেন, এখানে কিছুটা উত্তেজনা থাকতে পারে। আমি সামান্য বাইরে ছিলাম। ভালো হতো আমাকে সতর্ক করলে। আমি বুঝতে পারছি এখানে নিয়ম হলো আউট করা। আমার মনে হয় এটা বাংলাদেশ দারুণ ভদ্রতা দেখিয়েছে। তারা খুব খুব ভালোভাবে সামলেছে এটা। আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম তারা আবার আমাকে ফিরিয়ে এনেছে। আমি যদি বোলার হতাম, একই ব্যাপার করতাম হয়তো।’

বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাসের প্রশংসা করে সোধি বলেন, ‘আমি খুব ভালো ব্যাটার নই। এটা সুন্দর ভদ্রতা ছিল। বোলার হলে আমিও একই কাজ করতাম। গত কয়েক বছরে আমি অনেক দারুণ অধিনায়কের অধীনে খেলেছি নিউজিল্যান্ডের। আমার মনে হয় তারাও একই কাজ করতো। লিটন ছিল অনন্য যেভাবে সে সামলেছে সবকিছু। আমি বোলারকে জড়িয়ে ধরেছি, লিটনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমরা সবাই ক্রিকেটকে খুব সম্মান করি। সবাই চেষ্টা করছি স্পিরিটটা অক্ষুণ্ন রাখতে।’

‘এটা ভালো যত সম্ভব রান করা। আমি হয়তো এমন করতাম না। বুঝতে পারছি এটা এখন খেলার নিয়মে আছি। আপনি পুরো দুনিয়াতেই এমন ঘটনা দেখেন। এটা এখন কিছুটা বিতর্কিত ইস্যু। তারা হয়তো আমাকে সহজেই সাজঘরে ফিরতে দিতে পারতো। তারা অনেক বড় স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়েছে। আমরা সৌভাগ্যবান জয়ী দল হতে পারে কিন্তু এটা গুরুত্বপূর্ণ খেলার স্পিরিটটা বাঁচিয়ে রাখা। বিশেষত যখন আমরা এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলছি দেশের হয়ে জিততে।’-যোগ করেন সোধি।

এসএইচ