মাসখানেক আগেই পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে শাদাব খানকে ‘মানকাডিং’ আউট করেছিলেন ফজলহক ফারুকি। যা পাকিস্তানের ম্যাচ জয় করে অনেক কঠিন করে তোলে। এরপর যদিও ম্যাচটি বাবর আজমের দল জিতে নেয়, ম্যাচশেষে আলোচনায় ছিল সেই মানকাডিং। একই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠতে পারত মিরপুরেও। তবে নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধিকে মানকাড আউট করেও তাকে খেলায় ফিরিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস ও পেসার হাসান মাহমুদ।

যা নিয়ে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের হৃদয় জিতে নিয়েছে বলা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে ব্ল্যাক-ক্যাপসরা ভালোবাসার (লাভ) ইমোজি দিয়ে পোস্ট করেছে। যেখানে হাসান ও সোধিকে জড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

কেবল কিউই ভক্তরাই নন, সামাজিক মাধ্যমে এই মুহূর্তে অনেক আলোচিত বিষয় নাটকীয় এই মানকাডিং আউটের ঘটনা। ক্রিকেটীয় রীতি অনুসারে এ ধরনের আউট বৈধ হলেও লিটনের সিদ্ধান্ত ‘ক্রিকেট-স্পিরিট’ বাড়িয়ে তুলেছে বলে দাবি তাদের।

নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৪৬তম ওভারের খেলা চলছিল। বোলিং আক্রমণে থাকা হাসান মাহমুদের চতুর্থ ডেলিভারি মোকবিলার জন্য ব্যাটিং স্ট্রাইকে প্রস্তুত ছিলেন কিউই অধিনায়ক লকি ফার্গুসন। হাসান বল ছাড়ার আগেই নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে বেরিয়ে যান সোধি। সুযোগ পেয়েই টাইগার পেসার তাকে মানকাড আউট করে দেন। এরপর রিভিউ দেন মাঠে থাকা আম্পায়ার, জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে ওঠে সোধি আউট।

আরও পড়ুন >> ‘মানকাডিং’ আউটের সুযোগ পেয়েও নেয়নি বাংলাদেশ

এরপরই ঘটে নাটকীয় ঘটনা। সোধি দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফিরে যাচ্ছিলেন। এর আগে এমন আউটের জন্য তিনি ব্যাটে তালিও দিয়েছেন, নিশ্চিতভাবেই এমনভাবে ফিরতে চাননি সোধি। তবে মাঠ ছাড়ার আগেই তাকে ডেকে এনেছেন লিটন। বাংলাদেশ অধিনায়ক আউটের আবেদন তুলে নিয়েছেন। এরপর ক্রিজে ফিরেই হাসানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জড়িয়ে ধরেন সোধি। বেশ আবেগঘন মুহুর্ত তৈরী হয় মাঠে। স্টেডিয়ামে থাকা দর্শকরাও হাত তালিতে ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানান।

উল্লেখ্য, সমালোচনার মুখেই ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মানকাডিং আউটের বৈধতা দেয় আইসিসি। এর আগপর্যন্ত অনেকেই এই আউটকে ক্রিকেট স্পিরিটের পরিপন্থী মনে করতেন। তবে এই বিতর্কিত আউটের এখন বৈধতা রয়েছে। এখন তা সাধারণ রান আউটের মর্যাদা পায়।

এএইচএস