বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তান ভারতের মাটিতে পা রাখবে কিনা, এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সরকার পর্যন্ত এতে জড়িয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভারতে খেলতে যেতে রাজি হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু পাকিস্তান রাজি হলে কী হবে, ভারত যে এখনো তাদের ভিসা দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে উদ্বেগের মাঝে রয়েছে পিসিবি। 

মূল ঘটনা অবশ্য কিছুটা জটিল। এশিয়া কাপের ব্যর্থতা, দলে ইনজুরি সমস্যা। এসব মিলিয়ে মন ভার হয়ে আছে ক্রিকেটারদের। বিশ্বকাপের আগে তাই ক্রিকেটারদের জন্য দুদিন দুবাই সফরের আয়োজন করেছিল পাকিস্তান বোর্ড। বিশ্বাস ছিল, ছুটি কাটানোর মাধ্যমে বিশ্বকাপের আগে মানসিকভাবে শক্তিশালো হবে দল।

তবে, পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টের এই পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখছে না ভারতের কারণে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভিসা না দেওয়ায় এমন জটিলতার শুরু। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ঠিক কবে যাবে, তাই ঝুলে আছে অনিশ্চয়তার মধ্যে।  

পরিকল্পনা অনুযায়ী, সোমবার লাহোর থেকে দুবাই যেতে চেয়েছিল পাকিস্তান, সেখানে দুদিন কাটিয়ে হায়দ্রাবাদের ফ্লাইট ধরতো পাকিস্তান। সেখানেই আগামী বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ। তবে ভিসা জটিলতায় এখন দুইদিনের সেই ‘দুবাই সফর’ বাতিল হয়েছে। 

বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল আগামী বুধবারেই দুবাই যাবে। এরপর বৃহস্পতিবার সেখান থেকে সরাসরি ভারতে গিয়ে পৌঁছাবে তারা। যার অর্থ, দুবাইয়ে ছুটি কাটানোর আমেজ আর পাওয়া হচ্ছেনা বাবর আজমদের। 

হায়দ্রাবাদে আগামী বৃহস্পতিবার প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ পাওয়া না যাওয়ায় ম্যাচটি দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামেই খেলা হবে। এরপর ৩ অক্টোবর দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

পাকিস্তান ক্রিকেটবোর্ডের এক কর্মকর্তা ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে জানিয়েছে, শেষ মূহুর্তে ভিসা নিয়ে এই জটিলতার কারণে পাকিস্তান শিবিরে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ। ধারণা করা হয়েছে, বছরের পর বধর ধরে চলতে থাকা রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক বিরোধই ভিসা দিতে দেরি করার কারণ। 

জেএ