আগের আসরে অধিনায়ক আর এবার আসরে নেই ড্রাফটে। এক বছরের মধ্যে একেবারে মুদ্রার বিপরীত পিঠ দেখে ফেললেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাসির হোসেন। অথচ গত আসরেও ছিলেন টুর্নামেন্টের আলোচিত নাম। ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ১২ ম্যাচ খেলে ৩৬৬ রান করেছিলেন নাসির। বল হাতে শিকার করেছেন ১৬ উইকেট। তবে এরপরেও ২০২৪ সালের বিপিএলের ড্রাফটে নেই তার নাম। 

তবে ঠিক কেন নাসিরের নাম নেই, সেটাও প্রায় সকলেরই জানা। আবুধাবির টি-টেন লিগে অংশ নিতে গিয়ে দূর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন একসময় বাংলাদেশ দলের নিয়মিত এই মুখ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের উপহার নিয়েছেন এবং তা আমিরাত বোর্ডের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই অভিযোগের কারণে বিপিএল তো বটেই ঘরোয়া ক্রিকেটের কোথাও দেখা যাবেনা নাসিরকে।   

আরও পড়ুন>> নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আইসিসির

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। গণমাধ্যমকে নাসিরের বিষয়টি নিয়ে নান্নু জানান, ‘আমরা তাঁকে বিপিএল ড্রাফটের তালিকায় রাখিনি। আইসিসি ক্লিয়ার না করা পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো ঘরোয়া টুর্নামেন্টে সে খেলতে পারবে না।'

নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের আবুধাবি টি-১০ লিগে দুর্নীতি বিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি। যেখানে উপহার গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হলে নাসির অসহযোগিতা করেছেন বা সহায়তা করতে অস্বীকার করেছেন।  

উল্লেখ্য, আগামীকাল রোববার বিপিএলের দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২০৩ জন দেশি ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে। সাতটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে তাদেরকে। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে 'এ' ক্যাটেগরিতে থাকছেন মুশফিকুর রহিম। এই ক্যাটাগরিতে গতবারের মতোই ৮০ লাখ টাকা থাকছে। 'বি' ক্যাটেগরিতে আছেন চার জন ক্রিকেটার। তারা হলেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, এবাদত হোসেন, ইমরুল কায়েস ও রনি তালুকদার। তাদের পারিশ্রমিক ৫০ লাখ টাকা। 'সি' থেকে 'জি' এর তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের ভিত্তিমূল্য ৩০ লাখ, ২০ লাখ, ১৫ লাখ, ১০ লাখ ও ৫ লাখ টাকা।

জেএ