হারমানের সঙ্গে দেখা হলেও কথা হয়নি জ্যোতির
বাইরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ড্রেসিংরুমের পেছনে ছোট ফুটবল নিয়ে খেলছেন জ্যোতি-মারুফারা। বিষয়টি চোখে পড়েছে বিদেশি সাংবাদিকদের। ম্যাচ শেষে ক্রিকেটাররা যখন মিক্সড জোন দিয়ে বাসে উঠছিলেন, তখন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে ইংলিশ সাংবাদিক (এশিয়ার গেমস হলেও ইউরোপিয়ান সাংবাদিকও রয়েছেন) প্রশ্ন করলেন ফুটবল নিয়ে।
বল-ব্যাটের মতো মিডিয়া হ্যান্ডেলেও যথেষ্ট স্মার্ট জ্যোতি। বেশ সুন্দরভাবে ইংরেজীতেই উত্তর দিলেন এই টাইগ্রেস অধিনায়ক, ‘আমরা আসলে খেলতেই এসেছিলাম। বৃষ্টির জন্য খেলা হচ্ছে না। তাই ফুটবল খেলে নিজেরা একটু চাঙ্গা হচ্ছিলাম।’
বিজ্ঞাপন
টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী বৃষ্টিতে খেলা পন্ড হলে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল জয়ী হিসেবে গণ্য হবে। বাংলাদেশ আজ এই আইনে সুবিধাভোগী হলেও সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে এমন হলে আবার ভুক্তভোগী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত থাকব। আবহাওয়ার ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে জয়ের জন্যই মাঠে আসব আমরা।’
আরও পড়ুন >> বৃষ্টির পেটে ম্যাচ, সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশ
২০১০ ও ২০১৪ এশিয়ান গেমসে নারী ক্রিকেটে রৌপ্য জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ক্রিকেট ছিল না। এবার আবার ক্রিকেট ফিরে আসায় পদক জয়ের আশা ব্যক্ত করলেন অধিনায়ক, ‘দেশ থেকে রওনা হওয়ার আগে আমি বলেছিলাম, ‘‘একটি ট্রফি জেতা ও মেডেল জেতার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আমরা এখানে পদক জিততে চাই। আমরা চাই চীনে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজুক।’’
ভারত র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকলেও নিজেদের বাড়তি চাপের মধ্যে রাখছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘অন্য একটি ম্যাচের মতোই ভাবছি। দল হিসেবে যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। তাদের এবং আমাদের উভয় দলে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।’
আরও পড়ুন >> বাংলাদেশ সিরিজের সূচি জানাল দক্ষিণ আফ্রিকা
নারী ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই হারমানপ্রীত কৌর প্রসঙ্গ। আজ হাংজুর জিজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও উঠে আসল বিষয়টি, ‘আসলে বিষয়টির অনেকদিন হয়েছে। তারাও মুভ করেছে, আমাদেরও মুভ করা উচিত’, বলেন জ্যোতি। এশিয়ান গেমস খেলতে এসেছেন ভারতের হারমানপ্রীত। চীনে তার সঙ্গে দেখা হলেও সেভাবে কথা হয়নি জ্যোতির।
ম্যাচ না খেলেই বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠে গেল। এ নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই হংকং কোচের, ‘আসলে টুর্নামেন্টের নিয়মের প্রতি সবারই শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। নিয়ম-ই এরকম, যা মানা ছাড়া উপায় নেই।’
হংকং কোচ ২০২০-২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। সেই সূত্রে বাংলাদেশ দলের অনেক ক্রিকেটারই তার চেনা।
এজেড/এএইচএস