মঈন আলি ও তসলিমা নাসরিন

মঈন আলি চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে আবেদন করেছিলেন জার্সি থেকে যেন মদের বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া হয়। তসলিমা নাসরিন চটেছিলেন এতে, করে বসেছিলেন টুইট। সেখানে এমন কী বললেন তিনি, যার কারণে চক্ষুশূল হলেন গোটা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের?

তসলিমা সেই টুইটে লিখেছিলেন, ‘মঈন আলি যদি ক্রিকেট না খেলতেন, তাহলে সম্ভবত সিরিয়ায় চলে যেতেন, আইএসে যোগ দিতে।’ তাতেই যা হওয়ার হয়ে গেছে। আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে চারিদিকে। 

সে টুইটটা রিটুইট করে মঈনের সতীর্থ জফরা আর্চার রীতিমতো তসলিমার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলে বসেছেন। লিখেছেন, ‘আপনি ঠিক আছেন? আমার তো মনে হচ্ছে না আপনি ঠিক আছেন!’

মঈনের আরেক সতীর্থ বেন ডাকেট তো আরেক কাঠি সরেস। তিনি তার টুইটার অনুসারীদেরকে তসলিমার সে টুইটার অ্যাকাউন্ট রিপোর্ট করার আহবানও জানালেন। বললেন, ‘এই অ্যাপের এটাই সমস্যা। মানুষজন এসব কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। জঘন্য। এতে পরিবর্তন দরকার। দয়া করে এই অ্যাকাউন্টটাকে রিপোর্ট করুন।’ সুর মিলিয়েছেন স্যাম বিলিংস, সাকিব মাহমুদরাও। বিলিংস ডাকেটের মতোই রিপোর্ট করার আহবান জানিয়েছেন অনুসারীদের। সাকিব আঙুল তুলেছেন ব্যক্তি তসলিমা নাসরিনের ওপরও। তিনি লিখেছেন, ‘জঘন্য টুইট, জঘন্য ব্যক্তিত্ব’

এমন তোপের মুখে পড়ার পর তসলিমা অবশ্য সুর বদলেছেন। পরের এক টুইটে জানিয়েছেন, সেটা নেহায়েত একটা রসিকতা ছিল তার। লিখেছিলেন, ‘তারা ভালোভাবেই জানে যে আমার মঈন আলি কে নিয়ে করা টুইটটা রসিকতা ছিল। কিন্তু তারা এটাকে ইস্যু বানিয়ে আমাকে লজ্জা দিচ্ছে কারণ আমি মুসলিম সমাজকে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ শেখাতে চাই আর ইসলামী ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেই। মানবজাতির সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি এটাই যে, অতি নারীবাদী বামেরাও নারীবিরোধী ইসলামিস্টদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।’

তবে এরপরও অবশ্য তিনি তোপের মুখ থেকে রক্ষা পাননি। আর্চার এ টুইটটাকেও রিটুইট করেছেন। লিখেছেন, ‘রসিকতা? কেউ আপনার রসিকতায় হাসছে না, এমনকি আপনিও হাসছেন না। আপনি কমপক্ষে এখন টুইটটা ডিলিট করতে পারেন।’

এনইউ/এটি