ব্যর্থতায় ভরা এশিয়া কাপ শেষ করেছে বাংলাদেশ। তবে শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয় কিছুটা হলেও আশা জাগিয়েছে সামনের বিশ্বকাপের জন্য। পরীক্ষা-নিরীক্ষার এই আসর থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি একেবারেই শূন্য নয়। নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ ব্যাটিং, তাসকিনের বোলিং, তানজিম হাসান সাকিবের উত্থান কিংবা তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটিং নিশ্চিতভাবেই আশার আলো দেখাচ্ছে টাইগার ক্রিকেটের ভক্তদের।

তবে ব্যর্থতাও ছিল কিছু। দলের ব্যাটিং অর্ডারের অন্যতম বড় ভরসা লিটন দাসের ব্যাটে রান নেই। ৭ নম্বরে নেই ধারাবাহিকতা। শামীম পাটোয়ারি কিংবা আফিফ ধ্রুবরা দেখাতে পারেননি আশার আলো। 

এশিয়া কাপে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের বড় তারকা নাজমুল শান্ত। মাত্র দুই ম্যাচ খেলেই ১৯৩ রান করেছেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। টুর্নামেন্টে শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলে নিশ্চিতভাবেই ভিন্ন কিছু করে দেখাতে পারতেন তিনি। এরপরেই আছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৫ ইনিংসে টাইগার ক্যাপ্টেনের রান  ১৭৩। আছে ভারত এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে কার্যকরী দুই ফিফটি। বল হাতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার পেয়েছেন ৩ উইকেট। 

৩য় স্থানে আছেন দুজন। মেহেদী মিরাজ এবং তাওহিদ হৃদয় দুজনেই খেলেছেন ৫ ম্যাচ। দুজনের রানই ১৫৮। মিরাজ অবশ্য বল হাতে উইকেট পেয়েছেন তিনটি। ১০০ এর বেশি রান করেছেন মুশফিকও। ৪ ইনিংস খেলে তার রান ১৩১। 

সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন এমন নামও আছে। বিজয় দীর্ঘদিন পর দলে এসে করেছেন ১১ বলে ৪ রান। সদ্য অভিষেক হওয়া তানজিদ তামিম ২ ইনিংসে করেছেন ১৩ রান। শামীমের ব্যাট থেকে ৪ ইনিংসে এসেছে মাত্র ৩৩ রান। একই পরিমাণ রান করেছেন লিটন। তবে তিনি খেলেছেন ৩ ইনিংস। নাইম শেখ ৪ ইনিংসে করেছেন মোটে ৮৫ রান। 

বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ম্যাচ খেলে এই স্পিডস্টার পেয়েছেন ৯ উইকেট। শরিফুল ইসলাম সমান ম্যাচে পেয়েছেন ৭ উইকেট। হাসান মাহমুদ ৩ ইনিংসে পেয়েছেন ৪ উইকেট। ২ ম্যাচ বল করে ৩ টি করে উইকেট পেয়েছেন শেখ মেহেদি এবং মুস্তাফিজুর রহমান। মেহেদি অবশ্য ব্যাট হাতে করেছেন ৩৫ রান। 

আবার বোলার হিসেবে লঙ্কায় গিয়ে উইকেট পাননি নাসুম আহমেদ। তবে ২ বার ব্যাট হাতে নেমে করেছেন ৫৯ রান। যা কিনা দলের অনেক স্বীকৃত ব্যাটারের চেয়েও বেশি। 

জেএ