৫০ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা
সকাল থেকেই কলম্বোর আকাশে রোদ ছিল। অথচ খেলা শুরুর মিনিট পাঁচেক আগে বৃষ্টি হানা দেয়। শ্রীলঙ্কায় এই হঠাৎ বৃষ্টির ব্যাপারটা অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু না। তবে বাইশ গজে নেমে নিজেদের স্বাভাবিক ব্যাটিংটুকুও করতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটাররা। ফাইনালের বড় মঞ্চে এসে চাপেই যেন শেষ তারা। আবার এভাবেও বলা যায় যে, মোহাম্মদ সিরাজের তাপেই শেষ! এই পেসারের আগুনে পুড়েছেন ৬ লঙ্কান! শেষ পর্যন্ত ৫০ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
এশিয়া কাপের এবারের আসরের ফাইনালে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে লঙ্কানরা খেলতে পেরেছে কেবল ৯২ বল। এই সময়ে সবকটি উইকেট হারিয়ে তারা স্কোর বোর্ডে তুলতে পেরেছে ৫০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান এসেছে কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। দলের ৯ ব্যাটারই এদিন দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ভারতের হয়ে ২১ রানে ৬ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার মোহাম্মদ সিরাজ।
বিজ্ঞাপন
বৃষ্টির পর ব্যাট করতে নেমে শুরুর ওভারেই ধাক্কা খেয়েছে লঙ্কানরা। জাসপ্রিত বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরা। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। এরপর শ্রীলঙ্কা ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে পাথুম নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে শুরু করেন সিরাজ। জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচে এই ওপেনার আটকা পড়েছেন ২ রান করে। দ্বিতীয় বল ডট হয়েছে। তবে এর পরের বলে সাদেরা সামাবিক্রমাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন সিরাজ। এই ইনফর্ম ব্যাটার রিভিউ নিয়েছিলেন তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চতুর্থ বলে আবারও উইকেট। এবার তার শিকারে পরিণত হয়েছেন চারিথ আসালঙ্কা।
প্রথম চার বলে ৩ উইকেট নেয়ার পর পঞ্চম বলটি ছিল হ্যাটট্রিক ডেলিভারী। সেটিতে দারুণ এক শটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। কিন্তু পরের বলেই তিনি উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন। ফলে এক ওভারেই ৪ উইকেট পেয়েছেন সিরাজ।
নিজের তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে আবারও উইকেট পেয়েছেন। চতুর্থ বলে বোল্ড করেছেন দাসুন শানাকাকে। ফলে নিজের করা ১৬ বলে মধ্যেই ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি। বল বাই বল ডেটা যখন থেকে রাখা হচ্ছে, তাতে চামিন্দা ভাসের রেকর্ড ছুঁলেন সিরাজ। ভাস ১৬তম বলে পঞ্চম উইকেটটি নিয়েছিলেন ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেবার ভালোবাসা দিবসের ম্যাচে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশের ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ভাস।
ফাইফার নিয়েই থেমে থাকেননি সিরাজ। এরপর ইনিংসের ১২তম ওভারে এসে কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে ৭ ওভারে ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।
সিরাজের আগুন ঝড়ানোর দিনে জ্বলে ওঠেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়াও। তার ঝুলিতে গেছে ৩ উইকেট। তাছাড়া জাসপ্রিত বুমরাহ পেয়েছেন এক উইকেট।
এইচজেএস