প্রশংসিত তানজিম সাকিব নেতিবাচক পোস্টে সমালোচিত
এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবের। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতেই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দারুণ পারফর্ম করেছেন। ব্যাট হাতে ছোটখাটো ক্যামিওর পাশাপাশি বল হাতেও শুরুতে জোড়া উইকেট নিয়েছেনই, এরপর শেষ ওভারে প্রবল চাপের মুখে দারুণ বোলিংয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। আর তাই সমর্থকদের ভাসছেন প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তরুণ এই পেসার।
তবে এর মধ্যেই তানজিম সাকিবের পুরনো কিছু ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন ২০ বছর বয়সী এই পেসার।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: সাকিবের থেকে ক্যাপ পেয়ে সাকিব বললেন, ‘স্পেশাল’
একটু পেছনে ফেরা যাক, ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তানজিম সাকিব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। এই পোস্ট নিয়েই মূলত বিতর্কের সূত্রপাত।
সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়। স্ত্রীকে যেই স্বামী বলে- আমার স্ত্রীর চাকরি করার দরকার নেই। আমি যা পাই তোমাকে খাওয়াব, সে তাকে রাজরানি হয়ে আছে। এখন সে রাজরানি না হয়ে কর্মচারী হতে চায়। আসলে স্ত্রী স্বামীর মর্যাদা বোঝেনি, স্ত্রী নিজের মর্যাদাও বোঝেনি। ঘর একটি জগৎ।
অসংখ্য কাজ রয়েছে। আজ ছেলেদের বেকারত্বের বড় কারণ হচ্ছে- মেয়েরা এগিয়ে আসছে, ছেলেরা কোনো চাকরি পাচ্ছে না। একটি ছেলেকে চাকরি দিলে পুরো পরিবারের উপকার হয়। (অতএব মা-বোনেরা নিজের আত্মমর্যাদা রক্ষার্থে স্বামীর আনুগত্য ও বাসায় অবস্থান করে রানির হালাতে অবস্থান করুন। অতএব মা-বোনেরা দুনিয়া কামাতে যেয়ে আখেরাত না হারিয়ে ঘরে অবস্থান করে স্বামী-সন্তানের খেদমত করে দুনিয়া ও আখেরাত দুটিই কামাই করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাওফীক দান করুন। আমিন।)’ পোস্টের শেষে একটি মাইক্রোফোনের ইমোটিকনসহ ‘শায়খ আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)’ নামটি লেখা আছে।
আরও পড়ুন: ১৫ জনের দলে ৬ ওপেনার
তানজিম সাকিবের এই পোস্টের স্ক্রিনশট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তবে এটিই যে তার একমাত্র বিতর্কিত পোস্ট -তাও নয়। এর আগে ইমার্জিং এশিয়া কাপ চলাকালীন সময়েও তার পেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের 'ফ্রি মিক্সিং' নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছিল। গত ১৯ জুলাইয়ের সেই পোস্টটিতে লেখা ছিল, ভার্সিটির ফ্রি মিক্সিং আড্ডায় অভ্যস্ত মেয়েকে বিয়ে করলে আর যাই হোক সন্তানের জন্য একজন লজ্জাশীলা মা দিতে পারবেন না। অবশ্য এই বিতর্কিত পোস্টটি পরে মুছে ফেলা হয়।
এফআই