চলমান এশিয়া কাপে ফেভারিট হিসেবে ‍নামলেও ফাইনালে ওঠা হয়নি প্রধান আয়োজক পাকিস্তানের। ভারত ও শ্রীলঙ্কার কাছে হার তাদের বিদায় নিশ্চিত করেছে। তবে এরচেয়ে বড় দুঃসংবাদ হিসেবে এসেছে তারকা পেসার নাসিম শাহের ইনজুরি। পুরো বিশ্বকাপেই তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো। এরপর থেকে নাসিমের জায়গায় পাকিস্তান দলে মোহাম্মদ আমিরকে নেওয়ার জোর দাবি উঠেছে।

এর আগে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, ২০ বছর বয়সী নাসিমের ইনজুরির কারণে কেবল বিশ্বকাপই নয়, আগামী বছর পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) তার খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর নাসিমের চোটের কথা গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন বাবর আজম। ডান কাঁধের চোট থেকে নাসিম ঠিক কত দিনে সেরে উঠবেন, সেটি নিয়ে এখনও পরিষ্কারভাবে কিছুই জানায়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। প্রাথমিকভাবে তার কাঁধের চোট  নিয়ে যতটা শঙ্কা ছিল, বাস্তবে পরিস্থিতি তার চেয়েও বেশি গুরুতর বলে শোনা যাচ্ছে। দুবাইয়ে তার স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়ার পরই এ বিষয়ে পুরো নিশ্চয়তা পাবে পিসিবি।

আরও পড়ুন >> বিশ্বকাপের আগেই পাকিস্তান শিবিরে দুঃসংবাদ

নতুন করে এই তারকা পেসারের ইনজুরির কথা ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বদলি হিসেবে একটি নামই বারবার উঠে আসছে। দেশটির ক্রিকেটভক্তরা তার বদলি হিসেবে দেখতে চান দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকা মোহাম্মদ আমিরকে। পাকিস্তান দলে নাসিমের কার্যকারিতা অনেক। ইন-আউট সুইংয়ে এশিয়া কাপেও প্রতিপক্ষে ব্যাটারদের নাকাল করে ছেড়েছিলেন তিনি। তার মতোই দলে আমির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস।

জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে খেলেছিলেন আমিল। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে ২০২০ সাল থেকে তাকে আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আমির এখন পর্যন্ত ৩৬ টেস্টে ১১৯টি, ৬১ ওয়ানডেতে ৮১টি এবং ৫০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫৯ উইকেট পেয়েছেন।

এদিকে নাসিমের মতো চোটে আছেন হারিস রউফও। তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেননি তিনি। হারিস অবশ্য বিশ্বকাপের আগেই সুস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন বাবর, ‘হারিস রউফের অবস্থা ভালো। তার একটু টান লেগেছে। কিন্তু সে বিশ্বকাপের আগেই সুস্থ হয়ে উঠবে। নাসিম শাহও তাই...তাদের (চোটে) পার্থক্য আছে। সুস্থ হয়ে উঠতে কত দিন লাগবে, জানি না। তবে আমার মতে, নাসিমকেও বিশ্বকাপের শেষ দিকে পাওয়া যাবে। দেখা যাক কী হয়।’

এএইচএস