দারুণ ঝলক দেখিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলে এসেছিলেন কাটার মাস্টার’খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৫ সালে রঙিন পোশাকে অভিষেকের পরবর্তী কয়েক বছর তার স্বপ্নের মতো গেছে। এরপর ইনজুরি ও হঠাৎই ফর্ম হারিয়ে ছন্দপতন। পুরনো সেই ফিজকে এখন পুরোদমে দেখা মেলাই ভার। তবে মুস্তা এখনই ফুরিয়ে যাননি, ডেথ ওভারে তার কার্যকারিতা টিম টাইগার্স গতকাল (শুক্রবার) রাতেও আরেকবার টের পেয়েছে।

তবে এশিয়া কাপের সব ম্যাচের একাদশে ছিলেন টাইগার এই বাঁ-হাতি পেসার। গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয়ের ম্যাচে মুস্তাফিজও সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি। অবশ্য ম্যাচটিতে মাত্র ৩ ওভার বল করেন তিনি। ১২ রানে ছিলেন উইকেটশূন্য। এর ভেতরই স্বল্প পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে বসে।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ আরও তিন ম্যাচে মাঠে নেমেছিল। আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও লঙ্কানদের বিপক্ষে সেসব ম্যাচে দলে ছিলেন তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। শুরুতে কিছুটা চোটে থাকলেও, পরে সুস্থ হওয়া ফিজ একাদশে জায়গা পাননি। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় আগের তিন ম্যাচের একাদশে থাকা তিন পেসারকে। সেই সুযোগে অভিষেক হয় তানজিম সাকিবের, একাদশে ফেরেন মুস্তাফিজ। এরপর ৮ ওভারে ৫০ রানে তার শিকার ৩টি।

আরও পড়ুন >> শেখ মেহেদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হাথুরু

সবাইকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাতেই মুস্তাফিজকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেক করেছেন টাইগার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। গতকাল ভারতকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে হাথুরু বলছিলেন, ‘মুস্তাফিজকে কখনো বাদ দেওয়া হয়েছিল, বিষয়টা তা নয়। আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাতে। তাকেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার তো মুস্তাফিজই। আমরা জানি মুস্তাফিজ কী করতে পারে, এ ম্যাচে সে সেটাও করে দেখিয়েছে।’

এদিকে, প্রথম সুযোগেই বাজিমাত করেছেন অভিষিক্ত পেসার তানজিম সাকিব। ৭.৫ ওভারে ৩২ রানে তিনি ২ উইকেট নিয়েছিলেন। ম্যাচের শুরুতেই রোহিত শর্মা ও তিলক ভার্মাকে ফিরিয়ে টাইগারদের শক্ত লড়াইয়ের পথে নিয়ে আসেন তিনি। এ নিয়ে হাথুরু ভাষ্য, ‘ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়ে তানজিম বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে থাকার দাবি তুলেছে। আমার বিশ্বাস, আমরা যদি বিশ্বকাপে তার ওপর আস্থা রাখি বা দল নির্বাচনের সময় তার কথা ভাবি, সেটা ভুল হবে না। ও দেখিয়েছে ও কী করতে পারে।’

এসএইচ/এএইচএস