বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি
পুরো আসর জুড়েই টপ অর্ডার ব্যর্থতায় ভুগেছে বাংলাদেশ। ব্যাতিক্রম কিছু হয়নি শেষ ম্যাচেও। লিটন-তামিমদের বাজে শুরুর পর অবশ্য দলের হাল ধরেন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। বিশেষ করে সাকিব-হৃদয়। এই দুই জনের ফিফটিতে ভারতের বিপক্ষে লড়াই করার পুঁজি পেল বাংলাদেশ।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলে হয়ে সর্বোচ্চ ৮০ রান এসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। জ্বর থেকে সেরে ওঠে তিন ম্যাচ খেলে ফেলেছেন লিটন দাস। কিন্তু এখনো স্বরূপে ফিরতে পারেননি। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থতার পর আজ তার সামনে সুযোগ ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু সেটা খানিকটা পায়ে ঠেললেন এই ওপেনার। শামির ইন সুইংয়ে বোকা বনে বোল্ড হয়েছেন। খুলতে পারেননি রানের খাতা।
অভিষেকে গোল্ডেন ডাকের দুঃস্মৃতি ভুলে শুরুটা ভালোই পেয়েছিলেন তানজিদ তামিম। শার্দুল ঠাকুরের পরপর দুই বলে দারুণ দুটি চেক শটে কাভার ও মিড অফের মাঝ দিয়ে দুটি চার মেরেছিলেন। কিন্তু পরের ওভারে বোল্ড তিনি। ক্রস সিম ডেলিভারি ছিল। যতটা ভেবেছিলেন, ততটা গতি ছিল না। পুল শটে ইনসাইড-এজে বোল্ড হয়েছেন তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ১২ বলে করেছেন ১৩ রান।
দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে সুযোগ হয়েছিল একাদশেও। কিন্তু সেটার সিকি ভাগও কাজে লাগাতে পারলেন না এনামুল হক বিজয়। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুঁকছে তখন দলের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ১১ বলে ৪ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। ফলে ২৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
দশম ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে ফুললেংথ থেকে ফ্লিক করেছিলেন মিরাজ। সরাসরি ক্যাচ গিয়েছিল মিডউইকেটে থাকা অভিষিক্ত তিলকের কাছে। তার বাড়িয়ে দেওয়া হাতে পড়েছিল ক্যাচটি, তিলক রাখতে পারেননি সেটি। একই ওভারে, একই ব্যাটারের ক্যাচ ফেলেছেন সূর্যকুমার যাদবও। অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে জোরের ওপর পাঞ্চ করতে চেয়েছিলেন মিরাজ। দ্বিতীয় স্লিপে থাকা সূর্যকুমার একটু ঝুঁকে ছিলেন। মাথার ওপরে হাত নিয়ে অবশ্য বলের নাগাল পেয়েছিলেন ভালোভাবেই। রাখতে পারেননি। ৩ ও ৫ রানে দুটি জীবন পান মিরাজ। তবে বেশি দূর এগোতে পারেননি। আনলাকি থার্টিনে গিয়ে ঠিকই ধরা পড়েছেন এই ব্যাটার। আক্ষর প্যাটেলকে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
টপ অর্ডারের চার ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে বেশ বিপদে পড়েছিল দল। সেখান থেকে টেনে তুললেন সাকিব। যাকে বলে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া। উইকেটে এসে দেখে-শুনে ঠান্ডা মাথায় ইনিংস গড়েছেন। তুলে নিয়েছেন ব্যাক্তিগত অর্ধশতক। এই মাইলফলকে পৌঁছাতে খেলেছেন ৬৫ বল।