ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকে টাইগাররা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সাকিব আল হাসান ও তাওহীদ হৃদয় জুটি।

এর আগে জ্বর থেকে সেরে ওঠা লিটন দাস এদিন তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামেন। কিন্তু এখনও তিনি স্বরূপে ফিরতে পারেননি। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থতার পর আজ পছন্দের পজিশন ওপেনিংয়ের সুযোগ পেয়েও পায়ে ঠেললেন এই ওপেনার। মোহাম্মদ শামির ইন-সুইংয়ে বোকা বনে বোল্ড হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এর পরপরই ফিরেছেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমও।

শার্দুল ঠাকুরের বলে পরপর দুটি চার মেরে তিনি ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু পরের ওভারে বোল্ড তিনি। ক্রস সিম ডেলিভারি ছিল। যতটা ভেবেছিলেন, ততটা গতি ছিল না। পুল শটে ইনসাইড-এজে বোল্ড হয়েছেন তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ১২ বলে করেছেন ১৩ রান। এরপর ক্রিজে নামা বিজয় একাদশে ফিরেছেন দীর্ঘদিন পর। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুঁকছে তখন দলের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ১১ বলে তিনি ৪ রান করে আউট হয়েছেন।

আরও পড়ুন >> সাকিবের পর ফিরলেন শামীমও (লাইভ আপডেট)

সেখান থেকে আশা দেখাচ্ছিলেন সাকিব-হৃদয় জুটি। নিজের স্বাভাবিক পারফরম্যান্সে টাইগার অধিনায়ক নিজের অর্ধশতকও তুলে নেন। এরপর থেকে তাকে আরও সাবলীল দেখা যায় ব্যাট হাতে। এক সময় সেঞ্চুরির আশাও দেখাচ্ছিলেন সাকিব। রবীন্দ্র জাদেজার ওভারে ছয়ের পর অক্ষর প্যাটেলের এক ওভারেই সাকিব উড়িয়ে বাউন্ডারি পার করেন দুবার। অন্যপ্রান্তে হৃদয়ও ভালো সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে সাকিব-হৃদয় জুটি একশ রান পার করে। কিন্তু এর পরই ছন্দপতন। । শার্দুল ঠাকুরের করা শর্ট বাউন্স বল খেলতে গিয়ে ব্যাটে লেগে বল আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। এতেই শেষ হয় সাকিবের ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংস।

ওয়ানডেতে সাকিব সর্বশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর আর কোনো ফরম্যাটেই তিনি ম্যাজিক ফিগারের দেখা পাচ্ছিলেন না। টইগারদের হয়ে বেশ ধারাবাহিক ফর্ম থাকলেও কেবল সেঞ্চুরির অপেক্ষা বাড়ছিল সাকিবের। ভারতের বিপক্ষে এদিন সেই আক্ষেপ ঘুচানোর সুযোগ এসেছিল। কিন্তু হলো না এবারও!

এসএইচ/এএইচএস