কী দারুণ ছন্দেই না ছিল অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই এসেছে মনে রাখার মত জয়। তবে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে একপ্রকার বিধ্বস্ত হয়েছে অজিরা। প্রোটিয়াদের বড় রানের জবাব দিতে নেমে ১১১ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা। 

অজিদের হারাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার তাবরাইজ শামসি আর কেশব মহারাজ। দুজনের আঁটসাঁট বোলিংয়ের কারণে মিডল ওভারে রান করতে ব্যর্থ হয়েছে অস্ট্রিলিয়া। পচেফস্ট্রমের পিচে দলের এমন পারফর্মে তাই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিচেল মার্শের কপালে। বিশ্বকাপের আগে দলে স্পিনের বিরুদ্ধে শক্তিমত্তা নিয়ে চিন্তিত তিনি।

পচেফস্ট্রমে মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ১১১ রানে হারায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করে এইডেন মার্করামের ১০২ আর কুইন্টেন ডি ককের ৮২ রানে ৩৩৮ রান জমা করে তারা। জবাবে ডেভিড ওয়ার্নার ছাড়া বড় স্কোর করতে পারেননি আর কেউই।

মাঝে রিষ্ট স্পিনার শামসি এবং মহারাজের ওভারে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় অজিরা। শামসি ২৯ রানে নেন ২ উইকেট, মহারাজ ১০ ওভারে কেবল ৩৭ রান দিয়ে পান ২ উইকেট।

ম্যাচ শেষে স্পিন খেলার ঘাটতিকে বেশ বড় করে দেখেছেন মার্শ। ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবে তাতে সন্দেহ নেই। আর সে কারণেই বাড়তি চিন্তা মার্শের মনে, ‘কোন সন্দেহ নেই বিশ্বকাপে আমরা এই ধরণের কন্ডিশনের সামনে পড়ব। এটা নিয়ে ভাবনা আছে, আমাদের তাই এই জায়গায় ভালো করতে হবে। তবে আমার মনে হয় গত ১২ থেক ১৮ মসে এটা আমাদের কেবল দ্বিতীয় হার। আমরা সাধারণত স্পিন ভালোই খেলি। এই জায়গায় আমরা উন্নতি করছি। আজ রাতে আমাদের পা হড়কেছে, আশা করি পরের ম্যাচে সেটা শুধরে নেবো।’ 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই সফরে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অংশ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এরইমাঝে এগিয়ে আছে তারা। তৃতীয় ম্যাচ শেষে ব্যবধান অবশ্য নেমে এসেছে ২-১ এ 

জেএ