একদিনের ক্রিকেটে এই প্রথমবার ভারতের ১০ উইকেটই নিলেন স্পিনাররা। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না ভারতীয় ব্যাটাররা। ঘূর্ণির পাকে আউট হলেন একের পর এক ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ২১৩ রানে অল আউট হয় ভারত। তাতে পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেননি রোহিত শর্মারা।

শ্রীলঙ্কার তিন স্পিনার দুনিথ ভেল্লালেগে, চারিথ আসালাঙ্কা ও মাহেশ থিকশানা ভারতের ১০ ব্যাটারকেই আউট করলেন। শুরুটা করেছিলেন ভেল্লালেগে। ভারতের প্রথম চারটি উইকেটই নেন তিনি। রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলকে আউট করেন তিনি। ভারতের পঞ্চম উইকেট নেন আসালাঙ্কা। আউট করেন ঈশান কিষাণকে। হার্দিক পান্ডেকে আউট করে নিজের পঞ্চম উইকেট নেন ভেল্লালেগে।

ভারতের সপ্তম, অষ্টম ও নবম উইকেট নেন আসালঙ্কা। আউট করেন রবীন্দ্র জাদেজা, যশপ্রীত বুমরা ও কুলদীপ যাদবকে। তার পরে বৃষ্টির জন্য খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। আবার খেলা শুরু হলে অক্ষর প্যাটেলকে আউট করেন থিকশানা। উইকেটে স্পিন হচ্ছে দেখে বেশিরভাগ ওভার স্পিনারদের দিয়েই করান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ভারতীয় ইনিংসে ৩৮ ওভার বল করেন স্পিনারেরা।

১৯৯৭ সালে কলম্বোর মাঠেই শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের বিরুদ্ধে ৯ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। এতদিন সেটাই ছিল স্পিনারদের বিরুদ্ধে এক ম্যাচে সব থেকে বেশি উইকেট হারানো। তবে মঙ্গলবারের ম্যাচে ১০ উইকেট পড়ল স্পিনেই। 

ভারত প্রথমবার স্পিনারদের বিরুদ্ধে ১০ উইকেট হারালেও বিশ্ব ক্রিকেটে এই ঘটনা প্রথম নয়। এই ম্যাচ নিয়ে একদিনের ক্রিকেটে ১০ বার প্রতিপক্ষের ১০টি উইকেটই নিয়েছেন স্পিনাররা। দু’বার এইি কীর্তি করেছেন শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা। ২০০১ সালে কলম্বোতেই জিম্বাবুয়ের ১০টি উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার স্পিনারেরা।

তবে ম্যাচে ভারতীয় বোলিং তোপে লঙ্কানরা থেমেছে ১৭২ রানে। তাতে ৪১ রানের জয়ে ভারত ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।

জেডএস