ভারতের আপত্তির মুখে চলমান এশিয়া কাপের বেশিরভাগ ম্যাচ শ্রীলঙ্কায় সরিয়ে আনা হলেও সরকারিভাবে আয়োজনের দায়িত্বে পাকিস্তানই। যে কারণে লাহোর থেকে কলম্বো-ব্যস্ততা বেড়েছে পিসিবি কর্মকর্তাদের।

জানা গেছে, অফিসিয়াল কাজেই পিসিবির অনেক কর্মকর্তা এই মুহূর্তে কলম্বোতে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে পাকিস্তানের মিডিয়া ম্যানেজার উমর ফারুক কালসন এবং আন্তর্জাতিক দলের জেনারেল ম্যানেজার আদনান আলী নতুন এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। এশিয়া কাপ চলাকালেই কলম্বোর ক্যাসিনোতে দেখা যায় তাদের। 

কিছু পাকিস্তানি চ্যানেল ক্যাসিনো যাবার খবর প্রচার করলে পরবর্তীতে দুই কর্তা জানিয়েছেন, তারা ক্যাসিনোতে শুধু রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট চলাকালে দলের কর্তাব্যক্তিদের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কেউ কেউও আছেন এ তালিকায়। 

এমন কাণ্ডে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) নজরে থাকতে পারেন এই দুই কর্মকর্তা। কারণ আইসিসির আচরণবিধি অনুসারে তাদের নিষিদ্ধ জায়গাগুলোর মধ্যে একটি হলো ক্যাসিনো। আইসিসি এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো বিবৃতি না দিলেও মনে করা হচ্ছে পিসিবির শাস্তির মুখে পড়তে পারেন এই কর্মকর্তারা।

পাকিস্তানের ক্রিকেট লেখক ওমর আলভি লিখেছেন, 'কে ক্যাসিনোতে খাবার খেতে যায়। কে জুয়ার আসরে খাবার খেতে যায়। তারা কাদের বোকা বানাচ্ছে।' সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার মহসিন খানও টুর্নামেন্ট চলাকালীন বোর্ড কর্তাদের এমন আচরণ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

এর আগে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপে তখনকার ম্যানেজার ও প্রধান নির্বাচক সাবেক পাকিস্তানি তারকা মঈন খানকে টুর্নামেন্ট চলাকালে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ও তার স্ত্রী ক্রাইস্টচার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ক্যাসিনোতে গিয়েছিলেন।

মঈন তখন পাল্টা যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি ক্যাসিনোতে ডিনার করতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তৎকালীন পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান স্পষ্ট করেছিলেন যে মঈন আচরণবিধি ভেঙেছিলেন। উমর ও আদনানের ঘটনা এশিয়া চলাকালীন হওয়ায় এই বিষয়ে এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি পিসিবি। তবে টুর্নামেন্টে শেষে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে পারেন এই দুই বোর্ড কর্তা।

এসএইচ/