পাকিস্তানের বোলিং বনাম ভারতের ব্যাটিং। লড়াইয়ের মঞ্চটা অনেক আগে থেকেই এমন। পাকিস্তান যুগে যুগে তৈরি করেছে বিশ্বসেরা সব বোলার। যে তালিকায় থাকবেন সর্বকালের অন্যতম দুই সেরা পেসার ওয়াসিম আকরাম-ওয়াকার ইউনুস। সেইসঙ্গে ইমরান খান, আকিব জাভেদ, শোয়েব আকতার, মোহাম্মদ আমিরের নামও বলা চলে অনায়াসে। বর্তমান সময়ের ক্রিকেটের সেরা পেস আক্রমণ পাকিস্তানেরই। শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ এবং নাসিম শাহদের নিয়ে গড়া বোলিং লাইনআপকে সমীহ করতে বাধ্য সকলেই। 

বিপরীতে ভারতের ইতিহাস সমৃদ্ধ করেছে ব্যাটাররা। কপিল দেব আর সুনীল গাভাস্কারের হাত ধরে যার শুরু। শচীন টেন্ডুলকার তো ক্রিকেট ইতিহাসেরই সেরা। তার সঙ্গে ছিল সৌরভ গাঙ্গুলি, ভিভিএস লক্ষ্মণ, রাহুল দ্রাবিড়, বীরেন্দ্রর শেবাগের মত নামিদামি তারকা। হালের যুগে আছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শুভমান গিল কিংবা হার্দিক পান্ডিয়ার মত নাম। 

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচেও নজরটা তাই থাকবে পাকিস্তানের বোলিং আর ভারতের ব্যাটিংয়ের দিকে। তবে দিনে দিনে দুই দলের লড়াইয়ের গতি বদলেছে। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ এখন বেশ সমৃদ্ধ। ওয়ানডের সেরা ব্যাটার বাবর আজম আছেন দলের কান্ডারি হয়ে। 

তার পাশাপাশি আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইমাম উল হক, ফাখার জামান, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খানের মত নির্ভর করার মত তারকারা। ভারত দলেও বোলিং বিভাগে এসেছে বৈচিত্র্য। জাসপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ শামি, কুলদ্বীপ যাদবরা যেকোন দলের জন্যই ভয়ের কারণ।  

তবুও সাম্প্রতিক ফর্ম বলছে, এবারের লড়াইয়ে কিছুটা ব্যালেন্সড দল নিয়েই নামবে পাকিস্তান। দারুণ ছন্দে আছে দল। ম্যান ইন গ্রিনরা আছে র‍্যাঙ্কিং এর শীর্ষে। সে তুলনায় ভারতই এবার কিছুটা নড়বড়ে। সিনিয়ার ক্রিকেটার ছাড়া ভারতের সক্ষমতা অনেকটাই কমে আসে, সেটি স্পষ্ট। উইন্ডিজ সফরেই যার নমুনা দেখেছে ক্রিকেট দুনিয়া। 

এমনকি এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের সাক্ষাতেও পাকিস্তানি বোলিং এর হাতে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে  ভারতকে। যদিও হার্দিক পান্ডিয়া এবং ঈশান কিষানের ব্যাটে ভর করে সম্মানজনক স্কোর দাঁড় করায় ম্যান ইন ব্লু-রা।  

ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে পাক অধিনায়ক বাবর আজম নিজেদের এগিয়ে রেখেছেন কন্ডিশনের বিবেচনায়। অন্যদিকে ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিলের কণ্ঠে শোনা গেল পাকিস্তানি বোলিং এর প্রতি সমীহ করার সুর। শেষপর্যন্ত এই মর্যাদার দ্বৈরথে কার জয় হবে সেটা জানা যাবে কলম্বোর প্রেমাদাসায় ম্যাচ শেষ হবার পরে। 

জেএ