পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসারদের বিপক্ষে খেই হারাচ্ছেন ভারতীয় ব্যাটাররা, এমন দৃশ্য মোটেই অচেনা নয়। পাকিস্তানের টু ডাব্লিউ ওয়াসিম এবং ওয়াকারের যুগ থেকে জুনায়েদ খান, মোহাম্মদ আমির পেরিয়ে হালের শাহিন আফ্রিদি-নাসিম শাহ, সকলেই ভারতীয় ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বারবার। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ঈশান কিষান আর হার্দিক পান্ডিয়া হাল না ধরলে পরিস্থিতি হয়ত অনেকটাই নাজুক হয়ে পড়তো ভারতের জন্য।

গ্রুপ পর্বের ম্যাচের আগে অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত বলেছিলেন, আমাদের দলে শাহিন, নাসিম কিংবা হারিস রউফের মত বোলার নেই। পাক বোলিং লাইনআপকে যে ভারত সমীহ করে, সেটাই স্পষ্ট হল তার এই বার্তায়। সুপার ফোরে আবারও মুখোমুখি দুই দল। এবারেও উঠে এসেছে একই প্রসঙ্গ। আর তার জবাবে শুভমান গিল জানালেন, কেন পাকিস্তানি বোলারদের সামাল দেওয়া কঠিন। 

তরুণ এই ওপেনার বলছেন, ‘যখনই আমরা নতুন বোলারকে মোকাবিলা করি, তখনই তারা পার্থক্য গড়ে দেয়। আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলি না, তাদের বোলারদের খেলতে আমরা অভ্যস্ত নই। শাহিনের (আফ্রিদি) অনেক সুইং আছে, নাসিমের আছে পেস আর মুভমেন্ট এবং তারা উইকেট থেকেও সুবিধা আদায় করে নেয়। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে তারা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।’

জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর চলতি বছর ওয়ানডে ক্রিকেটে আর সেঞ্চুরি পাননি গিল। গত আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর নেপালের বিপক্ষে করেছেন অর্ধশতক। নিজের এমন রানখরা নিয়েও মুখে খুলেছেন গিল, ‘মাঝেমধ্যে টেকনিক্যাল কারণেই রানখরা হয় না, বোলাররা খুব ভালো করলেও হয়। আপনার প্রক্রিয়ার ওপর ভরসা রাখতে হবে। দলে নিজের ভূমিকা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। ওপেনারদের শুরুটা ভালো করতে হবে, শুরু থেকেই আধিপত্য করতে হবে।’

অধিনায়ক রোহিতের সঙ্গে ইনিংস শুরু করা নিয়ে গিল বলেন, ‘সে এমন একজন, যে শুরু থেকেই বোলারদের ওপর দাপট দেখাতে চায়। আমি মাটি কামড়ানো শট খেলতে পছন্দ করি। যেহেতু আমরা দুজন দুই কৌশলে খেলি, এটা প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন হতে পারে।’

জেএ