এক সময় ইংল্যান্ড জাতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার ছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তিনি ধারাভাষ্য ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু মাঝপথে বাধে বিপত্তি। ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারাতে বসেছিলেন ফ্লিনটফ। এরপর চিকিৎসাধীন থাকার কারণে দীর্ঘ ৯ মাস তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এবার সাবেক এই ইংলিশ তারকার দেখা মিলেছে জাতীয় দলের ডাগআউটে।

গতকাল (শুক্রবার) কার্ডিফে ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ চলাকালে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে হাজির হন ফ্লিনটফ। তাকে দেখে প্রায় সবাই অবাক হয়ে যান, বেশিরভাগ মানুষ তো সাবেক অলরাউন্ডারকে প্রথম দেখায় চিনতেই পারেননি। কারণ দুর্ঘটনার কারণে চেহারাই যে বদলে গেছে তার। ফ্লিনটফের মুখে এখনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে।

সাবেক এই ইংলিশ পেসার জনসম্মুখে আসার পর বেশকিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ছবিতে ফ্লিনটফকে ব্যালকনিতে বেন স্টোকস এবং জো রুটের পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে। সেই সময় তাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ফ্লিনটফ। মূলত চলমান এই সিরিজে ইংল্যান্ড দলে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। ফ্লিনটফ জাতীয় দলের মেন্টর হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তবে এখনও সেরে না ওঠায় তার এই দায়িত্ব পুরোপুরি আনুষ্ঠানিক নয়, দলের আহবানেই সাড়া দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন >> সৌদির টাকার সঙ্গে কেউই পারবে না : স্টোকস

ফ্লিনটফকে নিয়ে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার বলেছেন, ‘তার দলে থাকাটা খুবই ভালো। তিনি স্পষ্টতই ইংল্যান্ডের একজন কিংবদন্তি এবং তাকে দলের সঙ্গে পেয়ে ভালো লাগছে। তাকে কোনো নির্দিষ্ট ভূমিকা বা দায়িত্ব দিয়ে দলে আনা হয়নি, তিনি শুধু আমাদের আশেপাশে থাকবেন এবং পর্যবেক্ষণ করবেন। যাতে তার মস্তিষ্ককে কাজে লাগাতে পারেন অন্যরা।’

আরও পড়ুন >> ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে নেই আর্চার, সুযোগ পেলেন যারা

বিবিসি টিভি অনুষ্ঠানের হোস্ট হিসাবে ২০১৯ সাল থেকেই কাজ করছেন তিনি। পরবর্তীতে গত বছরের ডিসেম্বরে টিভি অনুষ্ঠান ‘টপ গিয়ার’-এর চিত্রগ্রহণের সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মুখে পড়েন। এরপর দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফ্লিনটফ। ঘটনার পরপরই তাকে বিমানে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে দুর্ঘটনায় তার পাঁজর ভেঙ্গে যায় এবং মুখ-চোয়ালে গুরুতর জখম হয়। যে ক্ষত এখনও তার মুখে দেখা যাচ্ছে।

২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ৪৫ বছর বয়সী ফ্লিনটফ। এর আগে ইংলিশ দলটির হয়ে তিনি ৭৯ টেস্ট, ১৪১ ওয়ানডে ও সাতটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।

এএইচএস