লো স্কোরিং ম্যাচও যে এত রোমাঞ্চকর হতে পারে সেটি আরেকবার দেখা গেল দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়ার লড়াইয়ে। অজিদের বোলিং তোপে ঘরের মাঠে চোখে শর্ষে ফুল দেখছিল প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ২২৩ সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়াও। বদলি হিসেবে নেমে অজিদের উদ্ধার করে নায়ক বনে যান মার্নাস লাবুশেন। 

১১৩ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে জয় প্রায় হাতছাড়া হয়েই যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তাদের ম্যাচে ফেরালেন আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে না থাকা মার্নাস লাবুশেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অ্যাশটন আগর। শেষ পর্যন্ত ৯৩ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন লাবুশেন এবং ৬৯ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যাগার। ৪০.২ ওভারেই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

অথচ এই ম্যাচে অজিদের সেরা একাদশেই ছিলেন না লাবুশেনে। ক্যামেরুন গ্রিনের ইনজুরিতে কনকাশন সাব হিসেবে ব্যাট করতে নামেন লাবুশেন। ৯৩ বলে ৮ চারে ৮০ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে হলেন ম্যাচ-সেরাও। পুরোটাই মাঠে বসে দেখেছেন তার মা অ্যাল্টা লাবুশেন। 

ম্যাচ শেষে লাবুশেন তার মাকে স্মরণ করে বলেন, 'তিনি অসাধারণ এক মহিলা। প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টা আমি না খেলা সত্ত্বেও পুরো ম্যাচেই মাঠে ছিলেন। তার মনে হয়েছিল, যেহেতু আমি এখানে এসেছি, তাই আমি এই ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছি। তিনি সেই অনুভূতিতে অনড় ছিলেন। কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম, 'আমি দল দেখেছি মা, আমি দলে নেই। তার কেবল মনে হচ্ছিল আমি খেলব এবং আরও একবার তিনি সঠিক হলেন। সত্যি বলতে, এটা বর্ণনা করা কঠিন।'

এর আগে ব্লমফন্টেইনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয় ২২২ রানে। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার সেঞ্চুরিতে ভর করে লড়াকু এই সংগ্রহ যোগ করে প্রোটিয়ারা। জবাবে অ্যাশটন অ্যাগার ও লাবুশেনের ১১২ রানের জুটিতে জয় তুলে নেয় অজিরা। 

এসএইচ/এফআই