এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণার অনেক আগে থেকেই ভেন্যু নিয়ে বিতর্ক চলে আসছিল। শেষমেষ হাইব্রিড মডেলে শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ নির্ধারণের পর কিছু সময়ের জন্য সেই আলোচনার ইতি ঘটে। তবে তখনই শোনা গিয়েছিল, কলম্বোর মাটিতে নির্ধারিত প্রতিটি ম্যাচের দিনই শঙ্কা রয়েছে বৃষ্টির। যা ভারত-পাকিস্তানের মতো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের হাইভোল্টেজ ম্যাচটিও ভেস্তে দিয়েছে। মাঝে ভেন্যু পরিবর্তনের সম্ভাবনা জাগালেও সেটি পূরণ না হওয়ায় একে অপরের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ছে ভারত-পাকিস্তান।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) সম্প্রতি সুপার ফোরের ম্যাচগুলো পূর্ব নির্ধারিত ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছে। ফলে ফাইনালসহ ছয়টি ম্যাচই হবে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। তার মধ্যে সুপার ফোরের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। কলম্বোয় প্রতিটি ম্যাচের দিনই বৃষ্টির সম্ভাবনা অন্তত ৬০ শতাংশ। তবুও ভেন্যু পরিবর্তন না হওয়ায় পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান নাজাম শেঠী ভারতীয় দলকে খোঁচা দিয়ে বসলেন। তার প্রশ্ন, ভারত কি পাকিস্তানের কাছে হারের ভয় পাচ্ছে?

এর আগে শুরুতে এসিসি চেয়েছিল, বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে ম্যাচগুলো হোক শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায়। সেখানকার আবহাওয়া তুলনামূলক ভাল। কিন্তু ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআই ম্যাচগুলো কলম্বোতেই রাখার দাবি করে। তাদের যুক্তি, হাম্বানটোটার মতো শহরে ভাল হোটেলের অভাব। চারটে দলের জন্য ব্যবস্থা করাও কঠিন। সেজন্য কলম্বোতেই খেলতে চেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।

আরও পড়ুন >> এশিয়া কাপের সুপার ফোর, কার খেলা কবে

পরবর্তীতে বিসিসিআইয়ের প্রস্তাবই মেনে নিয়ে ভেন্যু অপরিবর্তিত রাখে এসিসি। আর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে একহাত নিয়েছেন নাজাম শেঠী। সাবেক এই পিসিবি চেয়ারম্যানের প্রশ্ন, ‘বিসিসিআই/এসিসি পাক ক্রিকেট বোর্ডকে প্রথমে জানায় যে বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে ভারত-পাক ম্যাচ কলম্বো থেকে হাম্বানটোটায় স্থানান্তরিত করা হবে। এরপর এক ঘণ্টার মধ্যেই তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে জানায় কলম্বোতেই খেলা হবে। হচ্ছেটা কী? ভারত কি পাকিস্তানের কাছে হারের ভয় পাচ্ছে? বৃষ্টির পূর্বাভাসটা তো দেখুন।’

এবারের এশিয়া কাপের চারটি ম্যাচ পাকিস্তানে রেখে বাকি ৯ ম্যাচের সূচি ঠিক করা হয় লঙ্কানদের মাটিতে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ দিয়েই পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপের অবসান হতে যাচ্ছে। বাকি ম্যাচগুলো বৃষ্টির কারণে পুরোপুরি মাঠে গড়াবে কিনা তা নিয়ে রয়ে গেছে অনিশ্চয়তা।

এএইচএস