দীর্ঘ ৫ বছর পর আরও একবার এশিয়া কাপের সেরা চারের লড়াইতে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৮ সালে টাইগারদের দেখা গিয়েছিল সুপার ফোরে। সেবার পাকিস্তানকে হারিয়েই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। আজ আরও একবার বাংলাদেশের সামনে সুযোগ থাকছে তাদের হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকার।

তবে কাজটা যে খুব একটা সহজ হচ্ছেনা, তা অনায়াসে বলা যায়। সবশেষ ৫ দেখায় বাংলাদেশ ৪ বার জয় তুলে নিলেও দুই দলের সাম্প্রতিক ফর্ম দিচ্ছে ভিন্ন এক বার্তা। যেখানে ওডিআই র‍্যাঙ্কে শীর্ষে থাকা পাকিস্তানকে অনেকটাই এগিয়ে রাখবেন অনেকে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিপক্ষে সম্ভাব্য বাংলাদেশ একাদশ 

দুই দলের অতীতটাও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে পাকিস্তানের দিকে। এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৩৭ বার। যেখানে কেবল ৫ ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর ৩২ ম্যাচেই জয় পাকিস্তানের। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় জয়টাও পাকিস্তানের বিপক্ষেই। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বড় অঘটনের জন্ম দিয়ে পাকিস্তানকে হারায় বাংলাদেশ। 

১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

বাংলাদেশ পাকিস্তান দ্বৈরথে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ৩২৯। ২০১৫ সালে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় দাঁড় করায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোর অবশ্য বাংলাদেশের চেয়ে অনেকখানি বেশি। ২০১০ এশিয়া কাপে শহীদ আফ্রিদির ১২৪ রানের অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে ৩৮৫ রানের সংগ্রহ ছিল তাদের। 

আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের সুপার ফোর, কার খেলা কবে

সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় একটু হতাশই হতে হবে বাংলাদেশকে। মুখোমুখি লড়াইয়ের সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় শীর্ষ দশে পাকিস্তানের নাম নেই। ২০০০ সালে বাংলাদেশকে ৮৭ রানে অলআউট করে পাকিস্তান। ৩২০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশ সেদিন হেরে যায় ২৩৩ রানের ব্যবধানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডও হয়েছিল সেদিন। 

রান এবং সেঞ্চুরিতে এগিয়ে ইউসুফ এবং তামিম

টাইগারদের বিপক্ষে পাকিস্তানের সর্বনিম্ম রানের রেকর্ডটা অবশ্য বেশ পুরাতন। একইসঙ্গে বিখ্যাতও বটে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নান্নু-সুজনদের বিপক্ষে করা ১৬১ রানই পাকিস্তানের এই লড়াইয়ে সংক্ষিপ্ত স্কোর। বাংলাদেশ সেই ম্যাচটা জিতেছিল ৭৯ রানে। কাকতালীয়ভাবে এটিও বাংলাদেশের পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। 

দুই দলের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি রান পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফের। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮৯৩ রান করেছিলেন একসময়ের দুর্দান্ত এই টপঅর্ডার ব্যাটার। আর বাংলাদেশের জার্সিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি রান তামিম ইকবালের। চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার করেছেন ৬৮৪ রান। সবচেয়ে বেশি শতকের রেকর্ডও তাদেরই দখলে। ইউসুফের সেঞ্চুরি তিন আর তামিমের ২। 

উইকেট শিকারে সবার উপরে আফ্রিদি-সাকিব

সবচেয়ে বেশি উইকেটের ক্ষেত্রে পার্থক্য অবশ্য বেশ বড়। পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি বাংলাদেশি ব্যাটারদের আউট করেছেন ৩২ বার। বিপরীতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী সাকিব আল হাসান। তার উইকেট ২১ টি। 

ডিসমিসালের ক্ষেত্রে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন বাংলাদেশের খালেদ মাসুদ পাইলট এবং পাকিস্তানের কামরান আকমল। দুজনেরই ডিসমিসাল ১৭ টি। আজকের ম্যাচে অবশ্য তাদের ছাড়িয়ে যাবার সুযোগ আছে মুশফিকুর রহিমের। তার ডিসমিসাল ১৫টি। 

জেএ