দেশটা পাকিস্তান। যার সঙ্গে বাংলাদেশের তিক্ততা আর স্বাধীনতা অর্জন নিয়ে রয়েছে বিশাল ইতিহাস। তবে সেই তিক্ত সম্পর্কের মাঝেও যেন অন্যরকম এক দৃশ্য দেখা গেল রোববারের এশিয়া কাপের ম্যাচে। পাকিস্তানের মাঠে দেখা গেল বাংলাদেশের প্রতি বিপুল সমর্থন। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের একটা অংশ জুড়ে ছিল টাইগার সমর্থকদের আনাগোনা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুরুর দিকে ফাঁকাই ছিল গ্যালারি। তবে যতই সময় গড়িয়েছে, মানুষের উপস্থিতিও বেড়েছে। ২৭ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সমর্থন ছিল চোখে পড়ার মত। 

বিভিন্ন তথ্য এবং জরিপ থেকে জানা যায়, পাকিস্তানে এখনও প্রায় বিশ লাখের বেশি বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করেন। এদের বেশিরভাগই অবশ্য অবস্থান করেন বন্দরনগরী করাচিতে। তবে লাহোর শহরেও যে বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি আছেন, তাইই টের পাওয়া গেল রোববারের ম্যাচে। 

প্রবাসী এসব দর্শকদের অবশ্য নিরাশ করেনি বাংলাদেশ। দাপুটে এক ম্যাচ খেলে জয় ছিনিয়ে এনেছে টাইগাররা। যেখানে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। অনবদ্য সেঞ্চুরির সুবাদে লাহোরের অনার্স বোর্ডেও নাম উঠেছে দুই বাংলাদেশির। সুযোগ অবশ্য তাসকিনের সামনেও ছিল। ৫ উইকেট পেলেই নাম উঠতো লাহোরের অনার্স বোর্ডে। তবে তাসকিন থেমেছেন ৪ উইকেট নিয়ে। 

সবকিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশের পরের ম্যাচটিও হবে পাকিস্তানের মাটিতেই। যেখানে প্রতিপক্ষ স্বাগতিকরাই। সেই ম্যাচে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের টিকেট আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে এমন খবরও এসেছে। তবে ৬ তারিখের সেই ম্যাচে লাহোরের মাঠে আবারও যে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা দেখা যাবে, তা অনেকটাই নিশ্চিত। 

জেএ