এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে আফগান স্পিনার মুজিবকে দারুণ একটি ছক্কা হাঁকালেন। তবে এরপরই গ্লাভস খুলে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টিভি রিপ্লেতে দেখে মনে হচ্ছে, আঙুলে ক্র্যাম্প হয়েছে। ফিজিওর সঙ্গে এরপর মাঠ ছাড়েন মিরাজ।

প্রাথমিক অবস্থায় চোট কতটা গুরুতর, বুঝা যায়নি। তবে ম্যাচের যা পরিস্থিতি, তাতে আবারও ব্যাটিংয়ের নামার সম্ভাবনা কম তার। মিরাজ উঠে গেলেন ১১৯ বলে ১১২ রান করে, যাতে ৭টি চারের সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কার মার। 

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের লাইভ আপডেট দেখুন এখানে

চোট নিয়ে ক্রিজ ছাড়ার আগে শান্তর সঙ্গে অনবদ্য জুটি গড়ে দলকে বড় পুঁজি এনে দিয়েছেন। নিজেও পেয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে খেলেছেন ১১৫ বল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মাইলফলকও স্পর্শ করলেন তিনি। 

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে আজকের আগে একবারই ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মিরাজ। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে। সেবার প্রথম ম্যাচেই হাতে চোট পেয়েছিলেন নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবাল। টুর্নামেন্টের ফাইনালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভারতের বিপক্ষে লিটন দাসের সঙ্গে উদ্বোধনীতে নামানো হয় মিরাজকে। 

চলমান এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ওপেনিং করেছিলেন নাঈম শেখ ও অভিষিক্ত তানজীদ হাসান তামিম। দুজনই ব্যর্থ হন। আজ তানজীদ তামিমকে বসিয়ে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেওয়া হয় মিরাজকে। নাঈমের সঙ্গে ‘মেক শিফট’ ওপেনারের ভূমিকায় ইনিংস উদ্বোধনে নামেন মিরাজ। 

শুরুতে নাঈম শেখের সঙ্গে গড়েছেন ৬০ রানের জুটি। গত সাত ম্যাচ পর এটিই ছিল বাংলাদেশের পঞ্চাশ পেরোনো জুটি। সেইসঙ্গে আফগানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটিও এটিই। 

তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মিরাজের জুটিও গড়েছে রেকর্ড। তৃতীয় উইকেটে আফগানদের বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। মিরাজের সঙ্গী শান্ত সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। 

এফআই