দলের সবাই যখন হাল ছেড়ে দেয়, তখনও জয়ের চিন্তায় থাকে সে। জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে এমনই এক মন্তব্য করেছিলেন ওয়ানডে দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ এর আগেও চাপের মুখে দলকে সামলে রেখেছেন। আজকেও দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফগানদের বিপক্ষে বাঁচা মরার ম্যাচে মিরাজ পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। তার সাবলীল ব্যাটিংয়ের সুবাদে বাংলাদেশের হাতের নাগালেই ম্যাচ। ব্যাট হাতে শুরুটা ধীরগতির হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে খোলস থেকে বের করে এনেছেন এই মেক শিফট ওপেনার। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে খেলেছেন ১১৫ বল। ওয়ানডে কারিয়ারে নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চের মাইলফলকও স্পর্শ করলেন তিনি। 

শুরুতে নাঈম শেখের সঙ্গে গড়েছেন ৬০ রানের জুটি। গত সাত ম্যাচ পর এটিই ছিল বাংলাদেশের পঞ্চাশ পেরুনো জুটি। সেইসঙ্গে আফগানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটিও এটিই। 

তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মিরাজের জুটিও গড়েছে রেকর্ড। তৃতীয় উইকেটে আফগানদের বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। মিরাজের সঙ্গী শান্তুও আছেন সেঞ্চুরির কক্ষপথে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় শান্ত অপরাজিত আছেন ৮৮ রানে। 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরাজের সাফল্য এবারই প্রথম না। এর আগে ২০২২ সালে এই দলের বিপক্ষেই তিনি খেলেছেন ৮১ রানের ইনিংস। সেই ম্যাচে হারতে থাকা বাংলাদেশকে জয় এনে দেন মিরাজ এবং আফিফ। এছাড়া চলতি বছরের ওয়ানডে সিরিজেও মিরাজ খেলেছেন মান বাঁচানো ইনিংস। মুশফিকের সঙ্গে গড়েছিলেন ৮৭ রানের জুটি। বাংলাদেশ-আফগান লড়াইতে এটিও আছে সর্বোচ্চ জুটির তালিকায়। 

জেএ