মর্যাদা কিংবা উত্তাপের নিরিখে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ নিঃসন্দেহে ভিন্নমাত্রা পেয়েছে বহু আগেই। দুই দলের লড়াই মাঠে তো বটেই, মাঠের বাইরেও ব্যাপক আলোচনার বিষয়। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক আর সামরিক সম্পর্ক সেই উত্তেজনাকে আরও অনেকটাই উসকে দিয়েছে।

কিন্তু, দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঝে সম্পর্কটা যেন একেবারেই অন্যরকম। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও সম্পর্কটা বন্ধুত্ব আর পারস্পরিক শ্রদ্ধার। অনেকের কাছে যা অবিশ্বাস্য ঠেকতেই পারে।

এশিয়া কাপে মুখোমুখি হওয়ার আগে বিরাট কোহলির সঙ্গে বেশ খানিকটা সময় আলাপ করতে দেখা যায় পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফকে। দুই অধিনায়ক বাবর আজম আর রোহিত শর্মার আলাপটাও হয়েছে হাসিমুখেই। পাশে ছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম উল হক। আবার দুই দলের পেস বোলার মোহাম্মদ সিরাজ এবং হারিস রউফ আলাপ করেছেন ক্যান্ডির মাঠ নিয়ে। দুজনের মুখেই ছিল ভাল করার তাগিদ। 

গতকাল দুই দলের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ চলাকালে বারবারই বৃষ্টির কারণে অনিচ্ছাকৃত বিরতিতে যেতে হচ্ছিল। ম্যাচ চলাকালে এক ফাঁকে বিরাট কোহলির সঙ্গে খোশগল্পে মেতে উঠতে দেখা যায় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। যে ছবি রীতিমতো ভাইরাল এখন। তবে পুরো ব্যাপারটি মোটেও ভালো লাগেনি সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের। 

তার মতে, বর্তমানে দুই দলের ক্রিকেটাররা হাসিমুখে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন, হাত মেলান। সেটা একেবারেই ঠিক নয়। জাতীয় দলের জার্সি পরে খেলার সময়ে এই বন্ধুত্বগুলো বাউন্ডারি লাইনের বাইরে রাখা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। অবশ্য কোহলির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কটা তিক্ততার হওয়ার কারণে তাকে উদ্দেশ্য করেই এমন মন্তব্য করেছেন গম্ভীর-এমনটাও মনে করছেন অনেকে। 

গম্ভীর বলেন, ‘যখন তুমি জাতীয় দলের হয়ে খেলছ তখন এইসব বন্ধুত্ব স্টেডিয়ামের বাইরে রাখতে হবে। দুই দলের খেলোয়াড়দের চোখেই আগ্রাসন দেখানো দরকার। ছ’সাত ঘণ্টার ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পর যত খুশি বন্ধুত্ব করো। কিন্তু ম্যাচের আগে ও ম্যাচ চলাকালীন মনে রাখতে হবে, ১৪০ কোটি দেশবাসীর প্রতিনিধিত্ব করছ তুমি। আজকাল দেখি বিপক্ষ খেলোয়াড়রা মাঠের মধ্যেই এসে পিঠ চাপড়ে দিচ্ছে, ফিস্ট বাম্প করছে। আগে এটা মোটেও দেখা যেত না। তোমরা কি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে এসেছ নাকি?

উল্লেখ্য, বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও অতীতে তেমনটা ছিল না। বর্তমান ভারত কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে পাকিস্তানের শোয়েব আখতারের সম্পর্কটা বেশ তিক্তই ছিল। গৌতম গম্ভীর আর শহিদ আফ্রিদি আজও একে অন্যকে সইতে পারেন না। 

এফআই