জয়ের কোন বিকল্প নেই। হারের অর্থ দেশের জন্য ফিরতি টিকেট কাটতে হবে। এমন পরিস্থিতির এক ম্যাচে আগে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। তবে শুধু জয় না, এদিন রানরেটের দিকেও আলাদা নজর রাখছে বাংলাদেশ। গ্রুপের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আফগানিস্তান জিতলে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ হবে রানরেটের কল্যাণে। 

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। ওপেনিং জুটিতে নাঈম শেখ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে যোগ করেছেন ৬০ রান। আফগানদের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। লাহোরের এই পিচের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী হাই স্কোরের প্রত্যাশাই করছে বাংলাদেশ। 

আরও পড়ুন: ওয়ানডে অভিষেক শামীমের 

এশিয়া কাপের গ্রুপ ‘বি’ তে বর্তমানে বাংলাদেশের নিট রানরেট ঋণাত্মকের ঘরে। শুন্যের নিচে ঋণাত্মক দশমিক ৯৫১ এ অবস্থান করছে টাইগাররা। এমন অবস্থায় রানরেট বাড়াতে চাইলে বাংলাদেশের সামনে আছে হিসেবের মারপ্যাঁচ। দলীয় স্কোর ৩০০ হলে বাংলাদেশকে ম্যাচ জিততে হবে অন্তত ৫৩ রানের ব্যবধানে। ২৫০ স্কোরের ক্ষেত্রে জয়ের ব্যবধান হতে হবে ৪৮ রান আর ২০০ রানের ক্ষেত্রে ব্যবধান হতে হবে ৪২। 

অতীত পরিসংখ্যান বলছে, আফগানদের স্পিন ডিপার্টমেন্টের বিপক্ষে বরাবরই রান করতে হিমশিম খেতে হয়েছে বাংলার ব্যাটারদের। ওয়ানডে ক্রিকেটে যখন ৩০০ রান খুবই সাধারণ দৃশ্য, তখন আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩০০ এর বেশি করেছে মাত্র একবার। ২৩০ এর উপরে স্কোর উঠেছে মোটে ৬ বার। এশিয়া কাপের বাঁচা মরার লড়াইয়ে ব্যাটারদের উপর প্রত্যাশার চাপ যে বেশি, তা এখনই অনেকাংশে নিশ্চিত।

খেলার লাইভ আপডেট পেতে ক্লিক করুন >>এখানে

তবে, কোন কারণে বাংলাদেশ অলআউট না হলে কিংবা আফগানিস্তান সবকটি উইকেট না হারালে এই ব্যবধানের হিসেবে পরিবর্তন আসবে। আগের ম্যাচে লঙ্কানদের ধীরগতির ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই ম্যাচ হারলেও সুবিধাজনক অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। 

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের এই পিচে অবশ্য বড় রান করার সুযোগ থাকছে দুই দলের সামনেই। অস্ট্রেলিয়ার ও পাকিস্তানের সিরিজে এই মাঠের ছয় ইনিংসের মধ্যে তিনটিতেই স্কোর ছিল ৩০০ এর ওপরে। বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপের তাই এই ম্যাচে থাকবে বাড়তি চাপটি

জেএ