বাংলাদেশ- ৩৩৪/৫ (৫০.০ ওভার)

আফগানিস্তান- ২৪৫/১০ (৪৪.৩ ওভার)

হারলেই টুর্নামেন্ট শেষ। এর থেকে চাপের বাক্য বোধহয় একটা দলের জন্য আর হতে পারে না। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়েই আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে মেহেদি হাসান মিরাজ-নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেই চাপ সামলে রানের পাহাড় গড়েছে টাইগাররা। ৩৩৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ২৪৫ রানে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান।

বিজয়ের থ্রোতে কাটা পড়লেন জানাত

আফগানিস্তানের চাওয়ার তালিকায় যেটি সবার নিচের দিকে থাকার কথা, সেই রানআউটই হলো। করিম জানাত থেমেছেন বদলি ফিল্ডার এনামুল হকের সরাসরি থ্রোয়ে। অষ্টম উইকেট নেই আফগানিস্তানের, জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ।

লাহোরে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ

আগের ওভারে গুলবাদিন ফেরার পর এবার তাসকিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ধরা পড়লেন মোহাম্মদ নবি। এর আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩ রান। ২১৪ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে আফগানিস্তান। 

গুলবাদিনকে বোল্ড করলেন শরিফুল

উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মক শুরু করেছিলেন গুলবাদিন। ৪অতম ওভারে শরিফুলকে ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন। এক বল পরই আবার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। শেষ বলে তাকে বোল্ড করে বদলা নিলেন শরিফুল। 

হাশমতউল্লাহকে ফেরালেন শরিফুল

ফিফটি করে বড় ইনিংসের পথে এগোচ্ছিলেন হাশমতউল্লাহ। তবে তাকে বেশি দূর এগোতে দিলেন না শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েছেন আফগান অধিনায়ক।

নজিবুল্লাহকে ফেরালেন মিরাজ

আফগানিস্তানের যেই উইকেটে আসছেন, সেই জুটি গড়ায় মনযোগ দিচ্ছেন। তাতে সফলও হয়েছে তারা। এখনও পর্যন্ত টানা কোন সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পাচ্ছে টাইগাররা। সেই ধারাহিকতায় আরও একটি জুটিকে বড় হতে দেয়নি বাংলাদেশ। এবার মিরাজ থামালেন নজিবুল্লাহ জাদরানকে। ১৭ রান করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে বোল্ড করেছেন মিরাজ।

মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচে ইব্রাহিমকে থামালেন হাসান

২৮তম ওভারের তৃতীয় বলটি সিম-আপ ডেলিভারি ছিল হাসানের। সেখানে ব্যাট চালিয়েছিলেন ইব্রাহিম, টাইমিং হয়নি, তবে এজড হয়ে বল যায় উইকেটকিপার আর প্রথম স্লিপের মাঝামাঝিতে। স্লিপে কেউ ছিলেন না কিন্তু মুশফিক সেটিই কাভার করলেন, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে নিলেন দুর্দান্ত এক ক্যাচ। দারুণ ব্যাটিং করছিলেন ইব্রাহিম, তার উইকেটটি তাই ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মুশফিকের অসাধারণ ক্যাচে সেটিই পেল বাংলাদেশ। ইব্রাহিম থেমেছেন ৭৪ বলে ৭৫ রান করে।

ইব্রাহিমের ফিফটি, আফগানিস্তানের ১০০

 শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করছেন। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এখনও খেলায় রেখেছেন ইব্রাহিম। পেয়ে গেছেন হাঁফ সেঞ্চুরির দেখাও। মাত্র ৫২ বলেই মাইলফলকে গেছেন তিনি। 

ইব্রাহিম রান তাড়ায় আফগানদের বড় আশা এখনো, তবে অন্য প্রান্তে আরেক ব্যাটসম্যান আবারও তার গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ প্রথম ১৭ বলে করেছেন মাত্র ৬ রান। এখানে সেখানে বাউন্ডারি এলেও রান রেট বাংলাদেশ বোলারদের বড় একটা ঢাল হিসেবেই কাজ করছে। ২৬ ওভারে আফগানিস্তানের প্রয়োজন ২৩৪ রান, মানে ওভারপ্রতি তুলতে হবে ৯ রান।

রহমতকে বোল্ড করলেন তাসকিন

ক্রমেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন রহমত শাহ-ইব্রাহিম জাদরান জুটি। অবশেষে রহমতকে বোল্ড করে সেই জুটি থামালেন তাসকিন। ইনিংসের ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলটি তাসকিনের সিম-আপ ডেলিভারি ছিল। ভেতরের দিকে ঢুকা সেই বলে বড় শটের চেষ্টা করেছিলেন রহমত। তবে বলের নাগাল পাননি। ৫৭ বলে ৩৩ রান করে বোল্ড হয়েছেন তিনি, ভেঙেছে ৭৮ রানের জুটি। 

আফগানিস্তানের ফিফটি

 শুরুতেই আফগানিস্তানকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসছে তারা। শেষ ৫ ওভারে তারা স্কোরবোর্ডে তুলেছে ২৬ রান। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক, ফ্লাডলাইটের নিচে সেটি আরও বেশি হয়ে উঠতে পারে। গুরবাজের উইকেটের পর রহমত শাহ ও ইব্রাহিম জাদরানের জুটিতেই উঠেছে ৫০ রান।

ধীরগতির শুরু আফগানিস্তানের

সুপার ফোরে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকতে গেলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তবে আফগানিস্তানকে যদি ২৭৯ রানের মধ্যে আটকাতে পারে বাংলাদেশ, তাহলে সুপার ফোরে যেতে আর পরের ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। সরাসরি পরের রাউন্ডে জায়গা করে নেবে তারা। তাই সংগ্রহটা তিনশোর্ধ্ব হলেও আফগানদের ২৭৯ রানের মধ্যেই আটকে রাখতে চাইবে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য অন্তত শুরুর পাওয়ার প্লেতে সফল বাংলাদেশ। ১০ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি আফগানরা।

আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানলেন শরিফুল

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হলো না আফগানিস্তানের। ব্যর্থ হলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এই অভিজ্ঞ ওপেনারকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেছেন শরিফুল ইসলাম। ভেতরের দিকে ঢোকা বলে আবারও শট খেলতে গিয়ে মিস করে গেছেন গুরবাজ। তাতে আম্পায়ার আউট দিলেও, গুরবাজ অবশ্য রিভিউ নেন। ইমপ্যাক্ট ৩ মিটারের বেশি দূরত্বে আম্পায়ার্স কল ছিল, উইকেটেও তাই। কিন্তু সেটি গুরবাজের পক্ষে আসেনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফিরতে হয়েছে আফগান ওপেনারকে। 

শান্ত-মিরাজের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রান পাহাড়

ইনিংসের শেষ ওভার করেছেন করিম জানাত। তাতে এসেছে ১০ রান। লাহোরে বাংলাদেশ তুলেছে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান। এশিয়া কাপে এটিই এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ এটি।

ছক্কা মেরে শুরু করলেন শামীম

ওয়ানডেতে মুখোমুখি প্রথম বল। শামীম হোসেন সেটিতেই মেরেছেন ছক্কা। গুলবদিনকে ঘুরিয়ে ডিপ ফাইন লেগের ওপর দিয়ে ছক্কাটি মারেন শামীম। ওই ছক্কাতেই ৩০০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

রান আউটে কাটা পড়লেন শান্ত

সেঞ্চুরির পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না শান্ত। আগের ম্যাচে মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হতে গিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন। এবার রানআউট হয়েই থামতে হলো তাকে। ইনিংসের ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে রিভার্স সুইপ করেই দৌড় শুরু করেছিলেন, তবে ফিল্ডারের কাছে সরাসরি যাওয়াতে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে গিয়ে পিছলে পড়ে যান, ক্রিজে আর ফেরা হয়নি তার। ফলে শান্তর ১০৫ বলে ১০৪ রানের দারুণ ইনিংস থেমেছে সেখানেই।

শান্তর সেঞ্চুরি

আগের ম্যাচে সাজঘরে ফিরেছিলেন ৮৯ রান করে। দলের হয়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি রান একাই করেছিলেন। কিন্তু তারপরও আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন শান্ত। তবে আজ আর হতাশ হতে হয়নি। ১০১ বল খেলে মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। পঞ্চমবারের মতো একই ইনিংসে সেঞ্চুরি পেলেন বাংলাদেশের দুজন ব্যাটার, সর্বশেষ ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এবার শান্ত ও মিরাজ।

চোটে মাঠের বাইরে মিরাজ

সেঞ্চুরির পর বোলারদের ওপর বেশ ছড়াও হয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু চোটের কারণে বযাটিং চালিয়ে যেতে পারলেন না। ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে মুজিবকে ইনসাইড-আউটে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে দারুণ একটি ছক্কা মেরেছিলেন মিরাজ। তবে এরপরই গ্লাভস খুলে ফেলেন। আঙুলে ক্র্যাম্প হয়েছে, দেখে মনে হয়েছে সেটি। ফিজিওর সঙ্গে এরপর উঠেই গেছেন মিরাজ। তার আগে ১১৯ বলে ১১২ রান করে, যাতে ৭টি চারের সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কার মার।  মিরাজের সঙ্গে শান্তর জুটি থেমেছে ১৯৪ রানে। বাংলাদেশের হয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এটি। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের যে কোনো উইকেটেই সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ইমরুল কায়েস ও জুনাইদ সিদ্দিকের ১৬০, ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১০ সালে।

মিরাজের সেঞ্চুরি

ইনিংসের ৪১তম ওভারের চতুর্থ বলে গুলবদিন নাইবকে পুল শটটা ঠিকঠাক খেলতে পারেননি মিরাজ। সিঙ্গেলটা নেবেন কি না, সে ব্যাপারে শান্তর একটু সংশয় থাকলেও মিরাজের ছিল না। মিড অনে বল রেখেই দৌড় দিলেন, অপর প্রান্তে পৌঁছেই শূন্যে লাফালেন।

৬৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন মিরাজ। পরের পঞ্চাশ রান করতে খরচ করলেন ৫১ বল। সবমিলিয়ে তিন অঙের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছেছেন ১১৫ বলে। ওয়ানডেতে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ওপেনার হিসেবে যেকোনো সংস্করণের ক্রিকেটে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের বড় কারণ ছিল ওপেনিং ব্যর্থতা। যার ফলে তামিমকে বাদ দিয়ে আজ ওপেনিংয়ে পাঠানো হয় মিরাজকে। মেকশিফট ওপেনার হিসেবে খেলতে নেমে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দিলেন তিনি।

ফারুকিকে পাত্তাই দিচ্ছেন না শান্ত

ফারুকির করা ৩৩তম ওভারে এসেছে ১৭ রান, এখন পর্যন্ত ইনিংসে যেটি সর্বোচ্চ। ওভারের দ্বিতীয় বলে দুই রান নিয়ে শুরু। এরপরের বলে কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি, পরের বল শান্তর পায়ে লেগে ফাইন লেগ দিয়ে সীমানা ছাড়া, আর পঞ্চম বলে স্কয়ারের উপর দিয়ে পিক আপ শটে ছক্কা। সবমিলিয়ে এক ওভারেই ১৭ রান দিলেন এই পেসার। তার আগের ওভার গুলোতে সুবিধা করতে পারেননি ফারুকি।

শান্তর ফিফটি, বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ

আগের ম্যাচে একাই লড়াই করা শান্ত আজও দুর্দান্ত শুরু করেছেন। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ব্যাক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেছেন মাত্র ৫৭ বলে। মিরাজের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ইতোমধ্যেই শতরানের জুটি গড়েছেন শান্ত। তাদের এই অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বড় সংগ্রহের পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ।

মিরাজের ফিফটি

আরও একবার নতুন বলে খেলতে নেমে আলো ছড়ালেন ব্যাটার মিরাজ। সর্বশেষ এই এশিয়া সেরার মঞ্চেই ওপেন করেছিলেন মিরাজ। ২০১৮ সালের আসরের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচে লিটনের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়েছিলেন ওপেনিংয়ে। আজ আবার ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ খেলছেন। ইতোমধ্যেই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ৬৪ বলে মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই মেইকশিফট ওপেনার।

বাংলাদেশের সেঞ্চুরি

দুই বলের ব্যবধানে দুই উইকেট হারানোর পর কিছুটা হলেও শঙ্কা জেগেছিল। তবে সেই শঙ্কার মেঘ কেটে গেছে শান্ত-মিরাজের ব্যাটে। তৃতীয় উইকেটে এই দুই তরুণের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৯ ওভার ১ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ।

দুই বলের ব্যবধানে ফিরলেন নাঈম-হৃদয়

পাওয়ার প্লের শেষ বলে নাঈম সাজঘরে ফেরার পর উইকেটে আসেন তৌহিদ হৃদয়। ক্যারিয়ারে প্রথমবার তিনে খেলতে নেমে পুরোপুরি ব্যর্থ হলেন হৃদয়। ১১তম ওভারে গুলবদিন নাঈবের তৃতীয় বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। দুই বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি আগের ম্যাচে ডাক খাওয়া হৃদয়।

ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ফিরলেন নাঈম

দুর্দান্ত ব্যাটিং করা নাঈমের শেষটা হল সাদা-মাটা। দশক ওভারের শেষ বলটা গুগলি করেছিলেন মুজিব উর রহমান। সেখানে লাইন মিস করে গেছেন নাঈম। ভালো একটা ওপেনিং জুটি থামল ৬০ রানে, নাঈম থেমেছেন ৩২ বলে ২৮ রান করে। বেশ ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারলেন না এ বাঁহাতি। ৬ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটিই এখন নাঈমের সর্বোচ্চ স্কোর, আগের সর্বোচ্চ ছিল আগের ম্যাচেই করা ১৬ রান। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটিও এটা।

ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের ফিফটি

ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংস করতে নেমে শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম ১৪ বলে ৫ রান করেছিলেন তিনি। এরপর ফারুকির এক ওভারে দুই চারে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। অপর প্রান্তে নাঈমও দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন। ফলে অষ্টম ওভারেই ওপেনিং জুটিতে ৫০ ছুঁয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। সাত ম্যাচ পর ওপেনিং জুটিতে ৫০ দেখল বাংলাদেশ।

নাঈমের ব্যাটে দুর্দান্ত শুরু

আগের ম্যাচে ধীরগতির শুরু করেছিলেন নাঈম। উইকেটে থিতুও হয়েছিলেন। কিন্তু বল আর রানের যে দূরত্ব ছিল সেটা গুছানর আগেই সাজঘরে ফেরেন। ফলে তার স্ট্রাইকরেট ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তবে আজ যেন সেসব সমালোচনার জবাব দেওয়ার প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নেমেছেন এই ওপেনার। প্রথম ওভারেই দুই বাউন্ডারিতে ফজল হক ফারুকিকে ১৪ রান তুলেছেন নাঈম।

বাদ পড়লেন তামিম, শামীমের অভিষেক

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারের পর আজ একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হল শামীম হোসেন পাটোয়ারীর। তাছাড়া একাদশে ফিরেছেন আফিফ হোসেন ও হাসান মাহমুদ। অন্যদিকে একাদশে জায়গা হারিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মেহেদী হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ একাদশ- নাঈম শেখ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, শামীম পাটোয়ারী, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম।

আফগানিস্তান একাদশ- রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, করিম জানাত, গুলবাদিন নায়েব, রশিদ খান, মুজিব-উর-রহমান ও ফজলহক ফারুকি।

এইচজেএস