আফগান বোলিংয়ের জুজু কাটাতে পারবে বাংলাদেশ?
এশিয়া কাপের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ একেবারেই অচেনা কেউ নয়। কদিন আগেই ঘরের মাঠে যাদের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ, সেই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই আজ আবার খেলতে হচ্ছে তাদের। এই ম্যাচের আগে আরও একবার ঘুরেফিরে আসছে শঙ্কা। আফগানিস্তানের বিশ্বমানের স্পিন ডিপার্টমেন্টের বিপক্ষে টাইগার ব্যাটাররা কেমন করেন, তার উপরেই যে নির্ভর করছে ম্যাচের ভাগ্য।
বাংলাদেশের আজকের ভেন্যু লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। সারাদিনের তাপমাত্রা গড়ে ২৫-এর কাছাকাছি থাকবে বলে আবহাওয়ার তথ্যে জানা গেছে। এছাড়া বৃষ্টিরও কোনো সম্ভাবনা নেই। সাম্প্রতিক সময়ে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বেশ সহায়তা পাচ্ছেন ব্যাটাররা। অর্থাৎ সেখানকার পিচ অনেকটাই ব্যাটিং উপযোগী। তবে, এমন ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেও আফগান স্পিনাররা বাংলাদেশের বড় ভয়।
বিজ্ঞাপন
ভয় পাওয়ার মূল কারণ পরিসংখ্যানের পাতাতেই স্পষ্ট। বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ১৪ বার। এই দুই দলের লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। তালিকার এরপরেই আফগান বোলারদের জয়জয়কার।
আরও পড়ুন: রশিদ-মুজিবদের চ্যালেঞ্জ মনে করছেন হাথুরু
সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীর তালিকায় সাকিবের পরেই আছেন রশিদ খান। ১১ ম্যাচে তার উইকেট ১৯ টি। ইকোনমি রেট ৩ দশমিক ৬৬। গড় ২১ এর নিচে। অর্থাৎ, প্রতি ২১ বলে একবার করে বাংলাদেশি ব্যাটারদের সাজঘরে ফিরিয়েছেন তিনি।
অভিজ্ঞ স্পিনার মোহাম্মদ নবী ১৪ ম্যাচের সবকটিতেই খেলেছেন। তার উইকেট ১৭টি। এই অফস্পিনারের ইকোনমিও ৪ এর নিচে। প্রতি ২৭ বলে আছে একটি করে উইকেট। তার পরেই আছেন মুজিব উর রহমান। ৯ ম্যাচেই তিনি নিয়েছেন ১২ উইকেট। তার ইকোনমি আরও কম। ৩ দশমিক ৭৮ ইকোনমিতে বল করেছেন। গড় ২৬ এর কিছুটা নিচে।
এখানেই শেষ হচ্ছেনা দুশ্চিন্তা। আফগান পেসার ফজল হক ফারুকীকেও সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মাত্র ৬ ম্যাচে ফারুকী নিয়েছেন ১৪ উইকেট। ইকোনমি রেট সাড়ে ৪ এর বেশি হলেও, গড় ১৬ এর নিচে। যা বাংলাদেশের জন্য বেশ বড় দুশ্চিন্তা।
পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, আফগানদের স্পিন ডিপার্টমেন্টের বিপক্ষে বরাবরই রান করতে হিমশিম খেতে হয়েছে বাংলার ব্যাটারদের। ওয়ানডে ক্রিকেটে যখন ৩০০ রান খুবই সাধারণ দৃশ্য, তখন আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩০০ এর বেশি করেছে মাত্র একবার। ২৩০ এর উপরে স্কোর উঠেছে মোটে ৬ বার। এশিয়া কাপের বাঁচা মরার লড়াইয়ে ব্যাটারদের উপর প্রত্যাশার চাপ যে বেশি, তা এখনই অনেকাংশে নিশ্চিত।
জেএ