সেই ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসদের দিয়ে শুরু। এখনও পাকিস্তান দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ শক্তিশালী পেস বিভাগ। বর্তমানে শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহ বিশ্বের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের মনেও ভয় ধরিয়ে দিতে সক্ষম। যার সর্বশেষ প্রমাণ ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সর্বশেষ ম্যাচেও মিলেছে। তিন পেসারেই নির্দিষ্ট ওভার শেষ হওয়ার আগে গুটিয়ে গেছে ভারত। যা তাদেরকে ইতিহাসের পাতায় তুলে দিয়েছে। যদিও ইশান কিষাণ ও হার্দিক পান্ডিয়ার দৃঢ়চেতা ব্যাটিং ভারতকে দিয়েছিল লড়াকু পুঁজি।

এশিয়া কাপের ১৬তম আসর পাকিস্তান নবাগত নেপালকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে শুরু করেছিল। পেসারদের সঙ্গে সেদিন দাপট দেখিয়েছিলেন স্পিনার শাদাব খান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে নামার আগেও এই পেসত্রয়ীর সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের লড়াইয়ের কথা বারবারই আলোচনায় আসে। সেক্ষেত্রে শুরুতেই ভারতকে চাপে ফেলে দেন আফ্রিদি-রউফরা।

এই দুই পেসার ৬৬ রানেই ভারতের প্রথম চার ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমে ফেরান। তাদের গতির সামনে নাকানিচুবানি খেয়েছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিরা। সঙ্গে ছিল নাসিম শাহের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। এরপর পঞ্চম উইকেটে চাপ সামলে দলের চ্যালেঞ্জিং স্কোরে অবদান রাখেন কিষাণ ও পান্ডিয়া। ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে দুজনেই ভারতকে ম্যাচে ফেরান। তবে ৮২ রান করে রউফের শিকার হয়ে ফেরেন কিষাণ। ৯০ বলে ৮৭ রান করে পান্ডিয়া আউট হন শাহিনের বলে।

আরও পড়ুন >> রোহিত-কোহলিকে আউট করা নিয়ে যা বললেন আফ্রিদি

এই ব্যাটারের মাঝের তাণ্ডবে ভারত পায় ২৬৬ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। যা দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই জমিয়ে তুলতে পারত রোহিতের দল। তবে বৃষ্টির বাধায় সেটি আর সম্ভব হয়নি। আগে থেকেই আভাস মেলা বৃষ্টি এদিন বারবারই বাগড়া দিয়েছে। ভারতের ব্যাটিংয়ের পর পাকাপোক্তভাবে বৃষ্টি মাঠ দখল করে নেয়। ফলে ১টি করে পয়েন্ট নিয়ে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। 

এদিন এশিয়া কাপে প্রথবারের মতো কোনো ম্যাচের এক ইনিংসে পেসাররা ১০ উইকেটের সবগুলোই নিয়েছেন। সর্বোচ্চ চারটি শিকার শাহিনের, তিনটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন নাসিম ও রউফ।

শাহিন ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। একইসঙ্গে নতুন এক মাইলফলকেও পা রাখলেন তিনি। বাঁ-হাতি এই পেসার ওয়াকার ইউনুস ও সাকলাইন মুশতাকের পর তৃতীয় পাকিস্তানি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫০ উইকেট পেয়েছেন। ২৪ বছর হওয়ার আগে সব মিলিয়ে ৭ম বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন শাহিন আফ্রিদি।

এএইচএস